বোচাগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি\ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতিতে নাকাল নি¤œ, নি¤œ মধ্যআয়ের মানুষ। তেল চিনিকে পিছনে ফেলে চোখ রাঙ্গাচ্ছে গরম মসল্লার বাজার।
এক সপ্তাহ পর পবিত্র কুরবানী ঈদ। দেশে নি¤œ, নি¤œ মধ্য আয়ের মানুষ কুরবানীর ঈদের অপেক্ষায় থাকে, সেদিন তারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে মাংস সংগ্রহ করবে এবং কয়েক দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়েশ করে মাংস ভাত খাবে। সেই গরিবের ঈদকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে গরম মসল্লার বাজার।
গতকাল বুধবার দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার গরম মসল্লার বাজার ঘুড়ে দেখা গেছে প্রকার ভেদে ছোট এলাছ-১৬শ, লং- ১৫শ,দারুচিনি-৩শ ৫০, বড় এলাচ-১১শ, জিরা ৮শ ৩০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এখানে কেজি দরের হিসেব দেয়া হলেও ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ে গরম মসল্লার দাম জিজ্ঞেস করে একশ গ্রাম কত? গরম মসল্লার বাজারে সব চেয়ে বেশি আলোচিত নাম জিরা। কেননা, ৩৫০ টাকা কেজি দরের জিরা এখন ৮শ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরম মসল্লার বাজারের উত্তাপে দিশেহারা নি¤œ আয়ের মানুষ।
বোচাগঞ্জ উপজেলার এক মসল্লা ব্যবসায়ী জানান, অন্যান্য মসল্লার চেয়ে জিরার দাম কেন এতো বেশী বলতে পারছি না। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে আমাদের দেশের বাজারে কিছু পন্যের দাম বেড়েছে কিন্ত জিরা তো আসে ভারত থেকে। গরম মসল্লা নিতে আসা ক্রেতারা বলেন, সঠিক ভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। ব্যবসায়ীরা কত টাকায় ক্রয় করছে আর কত টাকায় বিক্রি করছে এই হিসেব নিলেই গরম মসল্লার বাজার আর গরম থাকবে না।