পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া মোমিনপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে নুর ইসলাম (৩৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ। গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে ওই সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫২ এর দুই নম্বর সাব পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশী এলাকায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নুর ইসলাম বোদা উপজলোর সাকোয়া ইউনিয়নের বকশীগঞ্জ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। স্থানীয়দের ধারণা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে মারা গেছে ওই গরু ব্যবসায়ী।
পুলিশ, বিজিবি ও সীমান্ত সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ঘাগড়া মোমিনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন গরু ব্যবসায়ী নুর ইসলাম। তাকে উদ্দেশ্য করে বিএসএফের ১৯৫ কাঞ্চনজঙ্ঘা বিওপির টহল দল কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রাও। গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে ওই সীমান্তে নুর ইসলামের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন সীমান্তের লোকজন। স্থানীয়দের ধারণা, বিএসএফের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান করা হয়েছে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।
হাড়িভাসা ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুরে আলম বলেন, এর আগেও এই সীমান্ত এলাকায় গুলিতে বাংলাদেশী নিহত হয়েছিল। বৃহষ্পতিবার সকালে স্থানীয়রা আমাকে ফোন করে জানান যে, বিএসএফ সীমান্তে গুলি করেছে। বুধবার গভীর রাতে স্থানীয়রা গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্ত এলাকা থেকে এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেখে মনে হয়েছে, তার পেছনে গুলি লেগে বাম চোখের নিচ দিয়ে গুলিটি বের হয়ে গেছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আসাদুজ্জামান হাকিমকে একাধিকবার চেষ্টা করেও মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, খবর পেয়ে সীমান্তের বাংলাদেশী এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক সুরতহালে মারাত্মক জখম পাওয়া যায়। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।