বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি :
মৌসুম অর্থাৎ শীত দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চাষ শুরু হয়েছে।গ্রীষ্মকালিন সময়ে ফুলকপি চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষক মোঃ সাজেকুল হক মিলন। এ ফুলকপিতে জীবনের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রভাব নেই। জৈব বালাইনাশক ও কেঁচো সার ব্যবহারে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে এরই মধ্যে। সাজেকুল হক মিলন বৈরী প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ফুলকপির চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই অসময়ে ফুলকপি চাষ করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাহারোল মোড়ে এলাকার কৃষক মোঃ সাজেকুল হক মিলনের খুলেছে ভাগ্যের চাকা। বাজারে আসা ফুলকপি-বাঁধাকপি নভেম্বর মাসে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আশানুরূপ দামে বিক্রি হওয়ায় পূজির পাশাপাশি দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন তিনি। ধান, আলু, ভূট্টার দাম নিয়ে কৃষকরা যখন দিশেহারা তখন অসময়ে ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক মো সাজেকুল হক মিলন।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুন। অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় বাজারে চাহিদা থাকায় আগামীতে এর চাষ আরও বাড়বে।
কৃষক মোঃ সাজেকুল হক (মিলন )জানান, ফুলকপি চাষ করে শীতকালের চেয়েও ভালো ফলন পেয়েছি।
স্থানীয় কৃষি খামার মালিক হতে ফুলকপি জাত-মার্বেল ও আর্লি স্পেশাল বীজ সংগ্রহ করে কৃষক মিলন ৫ বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে বাজারে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকায় তিনি লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় তার আশপাশের কৃষকরাও গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি আরও জানান,চারা রোপনের ৪৫-৫০দিন পর থেকে ক্ষেতের ফুলকপি-বাঁধাকপি বিক্রয় শুরু করে। পাইকারী প্রতিকেজি ফুলকপি ৩৫ কেজি দরে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন।
তবে এসব চাষাবাদে সার,বীজ, বালাইনাশক এবং শ্রমিক খরচসহ সর্বসাকুল্যে ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। প্রকৃতি বৈরী না হলে এবং বাজার দর ভালো থাকলে আরো ৩ লক্ষ টাকার ফুলকপি বিক্রি হবে বলে আশাবাদ মতামত প্রকাশ করেন তিনি।