বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, বাংলাদেশে প্রায় ৪৬টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত আছে। সকল রাজনৈতিক দল তাদের অবস্থান থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজনীতি করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা কি দেখেছি, জামায়াত-বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীরা ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর এদেশে বঙ্গবন্ধু কথাটি বলা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলো। মানুষের মুক্তির শ্লোগান, জয় বাংলা নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। মুক্তির গানগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে। সামরিক ও রাজনৈতিক ভাবে এবং আওয়ামীলীগের উপরে জেল, জুলুম, হত্যা, গুম, গ্রেনেড হামলা, অত্যাচার ও নির্যাতন করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধীরা সরকারি পৃষ্টপোষকতায় ২০০১ হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগের ২৬ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে। শত প্রতিকুলতার মাঝেও আওয়ামীলীগ কখনো দেশের মানুষকে ছেড়ে যায় নাই। কখনো যাবেনা। আমরা দেখেছি, ৭৮সালের নির্বাচনে যে হ্যা না ভোট করা হয়েছিলো, একটি মাত্র ব্যলট পেপার ২টি বাস্কে ফেললেই ভোট হয়ে গেছে। হ্যা না যেটাতেই ভোট দেন না কেন, হ্যা জয়যুক্ত হবে। এ ছিলো ভোটের প্রক্রিয়া। পীৃথিবির ইতিহাসে এর থেকে তামাশার ভোট আর হতে পারে না। এমন ভোট জেনেও এমন প্রতিকুল অবস্থায় আমরা সেই ভোটে অংশ গ্রহন করেছি জয় বাংলা ও আওমীলীগকে রক্ষা করার জন্য এবং জনগনের কাছে যাবার জন্য। ৭৫ এর দূঃশাষন এবং পরবর্তীতে দেশ বিরোধী কর্মকান্ডগুলি জনগনের কাছে গিয়ে জানিয়েছি। তা না করা হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহৃ করে দেয়া হত।
বৃহস্পতিবার সকালে বিরল টিএন্ডটি রোড সংলগ্ন সেলু মিয়ার চাতালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ যৌথ বর্ধিত সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় আমাদের একমাত্র লক্ষ্য নয়। আমাদের রাজনৈতিক যুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে দেশ বিরোধী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী সন্ত্রাসকে লালন করার দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের নামে বাংলাদেশে সন্ত্রাস তৈরী করতে পারে। জনগণকে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে তারা ভয়ভীতি দেখানো শুরু করেছে। তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত কওে আমাদের রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করতে হবে।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, এড, রবিউল ইসলাম রবি (পি,পি), সহসভাপতি সারোয়ারুল ইসলাম বাবলু, আলহাজ্ব আক্তার হোসেন, লুৎফর রহমান লুতু, অধ্যপক আল আমিন, আব্দুস সবুর, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আজাদ মনি, বিভুতি ভুষন রায়, লায়লা আরজুমান্দ বানুসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।