হাকিমপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি\‘তাজা অক্সিজেন নিতে চাই’, ‘আগামীর প্রজন্মকে বাঁচাতে চাই’ এমন ¯েøাগানে ধুলামুক্ত হিলি চাই দাবীতে র্যালি করেছেন স্থানীয় শতাধিক যুবক। র্যালি শেষে হাকিমপুরের হিলি সিপি সড়কে থাকা ধুলা পরিষ্কারও করেন তারা।
চলমান শুষ্ক মৌসুমে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলির বিভিন্ন রাস্তা এখন ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এতে অনেকটা বিপাকে পথচারীসহ স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা।
তবে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, পানি ছিটিয়ে ধুলা নিবারণের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, হিলি শহরের উপজেলা পরিষদ থেকে চারমাথা ও সিপি থেকে ঘোড়াঘাট পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া হিলি চারমাথা থেকে জালালপুর পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রতিদিন হিলি শূন্যরেখা থেকে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কয়েকশ ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এতেও সড়কে প্রচুর ধুলা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার দিনাজপুরের হিলি শহরকে ধুলামুক্ত রাখতে স্থানীয় শতাধিক যুবকরা এই র্যালি করেন।
দেশের অন্যতম হিলি স্থলবন্দর। এই স্থলবন্দর দিয়ে সরকার হাজার কোটি টাকা আয় করে। কিন্তু হিলির দুঃখ রাস্তাঘাট। শহরের অধিকাংশ রাস্তা এখন ধুলার রাস্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে সমাজসেবক জাবেদ হোসেন রাসেল বলেন, শতাধিক স্থানীয় শিক্ষার্থী নিয়ে র্যালী করে জিরোপয়েন্ট থেকে চারমাথা পর্যন্ত সড়কের ধুলা অপসারণ করা হয়। চলতি শুষ্ক মৌসুমে ধুলা-বালির কারণে রাস্তায় চলাচলই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পাশাপশি নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছে শিশু শিক্ষার্থীদের। তাই হিলিবাসী ধুলামুক্ত শহর চাই।
হিলি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলে, আমার বাড়ি সিপি সড়কে। বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে ধুলায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ধুলার কারণে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
রিকশাচালক আহমেদ আলী বলেন, হিলির প্রায় সব রাস্তাই ভাঙা। কয়েকটি রাস্তায় ধুলার কারণে চলাচল করতে দম বন্ধ হয়ে যায়। ধুলার কারণে যাত্রীরাও রিকশায় চড়তে চান না। ফলে আয় রোজগার কমে গেছে।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত সাংবাদিকদের বলেন, হিলির রাস্তার উন্নয়ন চলাকালীন সবাইকে একটু কষ্ট করতে হবে। আমারা পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন পানি ছিটিয়ে ধুলা নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।