পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দেশে অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর জন্য কি আমরা দায়ী? মোটেই না। আমরা খালেদা জিয়ার আমলে দেখেছি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল না-খাম্বা ছিল। এখন দেখছি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে উৎপাদন করতে পারছে না। টাকা নাই। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। যাতে যেনতেন ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সব করা যায়। তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াল, আর মন্ত্রী বলল শুধু একবার না তিন বছর পর্যায়ক্রমে দাম বাড়ানো হবে। তাদের হিসাবে এখন কয়েক পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে। তাদের হিসাবে এখন আমাদের ইউনিট প্রতি ৭/৮ টাকা নেয়। তা বাড়াতে বাড়াতে ২০ টাকা করবে। আর তাদের সরকার প্রধান বলল লোডশেডিং এর জন্য প্রস্তুত থাকুন। পিক আওয়ারেও তারা লোডশেডিং করবে। টাকা তো নাই উৎপাদন করবে। এর জন্য তো আমরা দায়ী না। আমরা পরিস্কার বলেছি এরজন্য সরকারের ভুলনীতি ও দূনীতি দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। এই গণতন্ত্রহীনতার সুযোগে কি হয়-অন্ধকারে অসাম্প্রদায়ীক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। অরাজনৈতিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের টাকা পাচার অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি। ঋণখেলাপীও অতীতের তুলনায় বেশি। লুটপাটের এমন অবস্থা হয়েছে, বাংকগুলোর কি অবস্থা তা আপনারা ভাল করেই জানেন। গ্রামের মানুষ বলছে যে যেভাবে পারছে দেশটাকে লুটপাট করে খাচ্ছে। তিন শত্রæ দেশটাকে চিড়েচেপ্টা করে খাচ্ছে। এরা হল অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা ও অসৎ রাজনীতিবিদ। বিদেশ থেকে যে জিনিসপত্র আমদানী করা হয় তা ৫/৬ জন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি। আমাদের কথা সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
জেলা সিপিবি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজা খন্দকার চামেলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা সিপিবি’র সভাপতি ইয়াকুব আলী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সৈয়দ মিজানুর রহমান, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধ এম এ হান্নান, জেলা উদীচির সভাপতি সফিকুল ইসলাম, জেলা বাপার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল প্রমূখ। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।