কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় প্রায় ২৫ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অবসর, বদলী, মৃত্যু ও পদোন্নতির কারনে এ সব প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান করে বিদ্যালয় গুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে উপজেলার অর্ধেকের বেশী প্রাথমিক বিদ্যালয় শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে বলে স্থানীয় অভিভাবকেরা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শিক্ষা কার্যক্রম চরম ভাবে বিঘিœত হচ্ছে।
কাহারোল উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, কাহারোল উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ১২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এ সব শূন্য পদে কোন নিয়োগ নেই। এতে বিদ্যালয়ের প্রধা শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকের সংকট দেখা দিয়েছে।
খামার দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালপুর-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বোয়াল পাতমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম মুকুন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রনগাঁও বুলিয়া বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোটগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কেউট পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভেলয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ২৮টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও পরিচালনা করা হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে।
একাধিক বিদ্যালয় শিক্ষকেরা জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা নেতৃত্বদেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু বছরের পর বছর প্রধান শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত করে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। তাদের পদ মর্যদা সমান হওয়ায় কেউ কাউকে মানতে চান না। এছাড়াও অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীর কোন জবাবদিহী থাকছে না। ফলে মুখ থুবড়ে পড়ছে পাঠদান কার্যক্রম। প্রতিদিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার।এমন পরিস্থিতিতে সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে তাদের কাছে নিয়মিত অভিযোগ করছেন অভিভাবকেরা।
গোপালপুর-১ ও খামার দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষকেরা নিজেদের ইচ্ছেমত আসা যাওয়া করেন ফলে পড়াশোনার মানও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
কাহারোল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ.এম.কে জিন্নাত আলী বলেন, বিদ্যালয়ের পদ শূন্য থাকায় পাঠদান কিছুটা ব্যাহত হয়। আমি নতুন এসেছি দ্রæত ভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শূন্য পদ সংক্রান্ত সব তথ্য বিভাগীয় উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।