হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স, ফিসারিজ ও এগ্রিকালচার অনুষদের শিক্ষকবৃন্দের (রেজিস্ট্রেশনকৃত) জন্য “পাইথন অ্যাপ্লিকেশনস (মডিউল-২) ফর দ্যা টিচার্স অব এইসএসটিইউ” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা রবিবার থেকে শুরু হয়েছে।
সকাল ১০ টায় আইকিউএসি কনফারেন্স রুমে তিন দিনব্যাপী উক্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান, সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তহিদার রহমান। টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান উপস্থিত সকলকে পবিত্র রমজান মাস ও স্বাধীনতার মাসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদদের। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরস‚রি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তিনি একটি লক্ষ্য স্থির করেছেন, সেটি হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা। এই প্রক্রিয়ায় গবেষণা খুবই গুরুত্বপ‚র্ণ, এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গবেষণাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ গবেষণার মাধ্যমেই নতুন নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা তৈরি হবে, এবং নতুন নতুন কর্মপদ্ধতি আমাদের কাছে চলে আসবে। তিনি বলেন, আমাদের এখন মাথাপিছু গড় আয় প্রায় ২৮০০ মার্কিন ডলার, যেটা ২০৪১ সালের মধ্যে ১২,৫০০ মার্কিন ডলারে উন্নিত করতে হবে। প্রায় ৫ গুন আয় বাড়াতে হবে, এই বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় গবেষণাকে অবশ্যই উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। গবেষণার পরিধি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, নতুন নতুন মেথড তৈরি হচ্ছে। এর সাথে আমাদেরকেও মানিয়ে নিতে হবে। এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আমাদের জ্ঞান ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করবে। পাইথনের পর নতুন পদ্ধতি এসেছে বøক চেইন, সামনে এর উপর আমরা প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা করবো। পরিশেষে এ ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য তিনি আইকিউএসি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।