খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহের সাথে উত্তরের জেলা দিনাজপুর খানসামা উপজেলায় লোডশেডিং-এ নাকাল জনজীবন। এতে চরম বিপাকে পড়েছে জনসাধারণ। সেহরি ও ইফতারের সময়েও লোডশেডিং হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ মুসল্লিটা। দিন-রাতে ২৪ ঘন্টা মিলে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষরা।
খানসামা পল্লী বিদ্যুত অফিস সূত্রে জানা যায়, পিক আওয়ার অর্থ্যাৎ সন্ধ্যা ৬.৩০মিনিট থেকে রাত ১১.৩০মিনিট পর্যন্ত এখন বিদ্যুৎের চাহিদা ৫.৫ মেগাওয়াট কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে ৩.৫মেগাওয়াট। অন্যদিকে অফ-পিক টাইম রাত ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ৩.৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ২.৫ মেগাওয়াট সরবরাহ হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরবেলায় খানসামা উপজেলার পাকেরহাট, টংগুয়া ও বৃন্দার বাজার এলাকায় প্রায় ৮-১০ জনের সাথে কথা হলে তাঁরা জানায় যে, গত ৩০ মার্চ থেকে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। সেচ কাজ, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সাথে রমজান মাসে সেহেরি ও ইফতারের সময় লোডশেডিং হওয়ার ফলে রান্নাবান্না ও প্রয়োজনীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে তাঁরা জানিয়েছে।
জানা যায়,উপজেলা পরিষদ, খানসামা বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাকেরহাট বাজার এলাকায় লোডশেডিং তুলনামূলক কম হলেও গ্রামে প্রায় ৬-৭ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে নিয়মিত।
সোহেল ইসলাম নামে এক যুবক ফেসবুকে লিখেছেন, গ্রামাঞ্চলে যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে আগের হাতপাখা বের করা ছাড়া উপায় দেখছি না এখন।
আজম খান নামে এক যুবক লিখেছেন, সেহেরীর সময় ভোরেবেলা মোবাইলের আলো দিয়ে খাইতে হয়। কেমন উন্নয়ন?
ছাতিয়ানগড় গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, এমন লোডশেডিং চলতে থাকলে কিছু দিন পর ধান ক্ষেতে সেচ দিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে ডিজেলের দাম।
লোডশেডিং এর কথা স্বীকার করে খানসামা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম ইফতেখার আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎ এর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। এইজন্য আপাতত দিনে তিন ঘন্টা পর পর এক ঘন্টা এবং রাতে দুই ঘন্টা পর পর এক ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।