দিনাজপুরে জাল নোট ও জাল নোট তৈরীর উপকরণসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩ সদস্যরা। এসময় আটককৃতদের কাছ হতে দেশের ৪০টি এক হাজার টাকার জাল নোটসহ টাকা তৈরীর বিভিন্ন উপকরন জব্দ করেন তারা।
শনিবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত সন্ধ্যায় দিনাজপুর শহরের স্টেশন রোডের সাহারা আবাসিক হোটেল থেকে তাদের জাল নোট ও জাল নোট তৈরীর উপকরণসহ আটক করে র্যাব-১৩ দিনাজপুরের সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন-মো. সুলতান মাহমুদ(৫৫) দিনাজপুর সদর উপজেলার শশরা ইউপির ওমরপাইল গ্রামের মৃত শফিউদ্দিন মন্ডলের ছেলে এবং মো. মানিক মিয়া (৩৭) পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের রাঘবিন্দপুর গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে।
বিষযটি নিশ্চিত করে র্যাব-১৩ দিনাজপুরের কোম্পানি অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো.জাহিদুর রহমান জানান, র্যাব-১৩,ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১, দিনাজপুরের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, দিনাজপুর শহরের ষ্টেশন রোড এলাকার এক হোটেল কক্ষে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি জাল টাকা ছাপানোর সরঞ্জামাদি দিয়ে জাল টাকা তৈরি করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে র্যাব-১৩ এর সিপিসি-১এর দলটি ওই হোটেলের ৩য় তলার দক্ষিন পার্শ্বে ২০২নং কক্ষে অভিযান চালিয়ে ৪০টি জাল ১ হাজার টাকার নোট, জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত (রর) ২(দুই) বোতল ৯৬০গ্রাম তরল কেমিক্যাল আয়োডিয়াম কিউ, ৩৫০গ্রাম ফিটকিরি, ৪টি স্বচ্ছ সাদা রংয়ের কাঁচ এবং ২টি স্বচ্ছ রঙ্গিন কাঁচ, ৪টি প্লাস্টিকের তৈরি সাদা রংয়ের ড্রপার, ১০৩০পিস দেশীয় এক হাজার টাকার নোটের আকারে কর্তনকৃত জাল নোট ছাপানোর জন্য তৈরিকৃত রঙ্গিন ও সাদা কাগজ, ২টি কসটেপ, ১টি মাঝারি আকারের মোমবাতি উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই দুইজন কে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোরাকারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জাল নোট তৈরি ও আদান-প্রদানসহ জাল নোট ব্যবহারের মত অসাধু কার্যকলাপ করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় র্যাব বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করে আটককৃতদের হস্তান্তর করেছে।