সময়ের আগেই বাজারে নেমেছে দিনাজপুরের অপরিপক্ক লিচু। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাদ্রাজি জাতের অপরিপক্ব লিচু। প্রচন্ড তাপদাহের কারণে লিচুর পাকার রং ধারন করছে এবং ভালো দাম পাওয়ার আশায় এসব অপিরিপক্ক লিচু বাজারে আনছে কতিপয় ব্যবসায়ীরা।
এই মৌসুমের বাজারে প্রথম লিচু চোখে পড়ায় টক স্বাদের হলেও এসব লিচু কিনছেন অনেক ক্রেতাই।
দিনাজপুরের বাজারে দেখা যায়, কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী দোকানে মাদ্রাজি জাতের লিচু সাজিয়ে রেখেছেন। এসব লিচু আধাপাকা ও অপরিপক্ব। ব্যবসায়ীরা ১০০লিচু বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩২০টাকায়। বছরের নতুন ফল হিসেবে অপরিপক্ব এসব লিচু কিনছেনও অনেকে।
সবুর চৌধুরী নামে এক ক্রেতা বলেন, মওসুমের প্রথম বাজারে লিচু চোখে পড়লো। তাই স্বাদ নিতে ৫০টা লিচু ১৫০টাকায় কিনলাম।
ফারুক হোসেন নামে আরেকজন বলেন, নতুন ফল দেখেই ১০০ লিচু কিনলাম। কিন্তু এসব লিচু এখনও পরিপক্ব হয়নি। খেতে টক মিষ্টি,আরেকটু সময় লাগবে। তবুও নিলাম।
বাজারে ফলের দোকানের কর্মচারী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দুই তিনদিন থেকে বাজারে লিচু উঠছে। সকালে বাগানিরা কিছু করে লিচু নিয়ে আসছেন। প্রচÐ গরমে মাদ্রাজি লিচুতে রং চলে এসেছে। তাই আগাম লিচু বিক্রি হচ্ছে। বোম্বে, চায়না থ্রি, বেদনা জাতের লিচু উঠতে এখনও দেরী আছে। তবে মাদ্রাজি জাতের লিচুর চাহিদা কম, বিক্রিও তেমন হচ্ছে না।
মাসিমপুর এলাকার কৃষক আসাদুজ্জামান লিটন বলেন, গরমে লিচু ফেটে যায় ও পড়ে যায়। এজন্য এখনই কিছু লিচু বিক্রি করে বাগানে লিচু কমিয়ে নিচ্ছি। এছাড়া শুরুতে বিক্রি করলে দামও বেশি পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) ম্ঃে আনিছুজ্জামান বলেন, এখন বাজারে যেসব লিচু উঠছে তা পরিপক্ব নয়। বাজারে লিচু উঠতে আরও প্রায় দেড় সপ্তাহ সময় লাগবে। সে সময় না আসা পর্যন্ত লিচুর সঠিক স্বাদ পাওয়া যাবে না।