মহামান্য হাইকোর্টের আদেশকে উপেক্ষা করে মো: ওহিদুজ্জাআমান বুলবুল নিজেকে দিনাজপুর নুরজাহান কামিল মাদ্রাসার স্বঘোষিত সভাপতি দাবী করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের অবৈধভাবে চাপ সৃষ্টিসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত করছে এবং নানান ধরনের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে চালাচ্ছে।
এমন অভিযোগ এনে গতকাল বিকেলে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনের প্রেসকনফারেন্স রুমে দিনাজপুর নুরজাহান কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য ও মোতওয়ালী আলহাজ্ব মো: আমীর খসরু‘র আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, দিনাজপুর নুরজাহান কামিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই গত ১৮/০৩/২০২৪ ইং ইআবি/রেজি:/প্রশা/কগব/র-৪/২০১৭/১২০২১ স্মারকমুলে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মো: ওহিদুজ্জামান বুলবুলকে সভাপতি এবং এসএম ফজলুল করিম দেওয়ানকে বিদুৎশাহী সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়। একই সময়ে দ্রæততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
ওই নিয়োগ অবৈধ এবং বিধিসম্মত হয় নাই মর্মে গত ০৩/০৪/২০২৪ ইং তারিখে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি সিভিল রীট মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং ৪০৯০/২০২৪ইং। উক্ত মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ উপরোক্ত এডহক কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের বিষয়টি (রেসপন্ডেন্ট নং ০৭) এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (রেসপন্ডেন্ট নং ০৮) এর বরাবর উক্ত নিয়োগ ৩ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এছাড়াও হাইর্কোট গত ০৫/১০/২০০২ ইং তারিখে শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্কুলার নং শিম/শা-১১/২৯২৮/৯৯(অংশ-১)১২৮৮ অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন প্রদান করতে হবে মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও গত এবং ১৭/০৪/২৪ ইং তারিখে হাইকোর্টে আরো একটি রীট আবেদন করলে কোর্ট তা মঞ্জুর করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নুরজাহান কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য সারোয়ার বাবু, ফারুক এ আজম, কানিজ রহমান, রেজাউর রহমান রেজু ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্ত্রী তসলিম আক্তার।