ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুর গাছে গাছে মুকুলের সমারো। লিচুর গাছে ফালগুন মাসের শুরুতেই এখন মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। লোভনীয় সেই লিচুর গাছগুলোতে এখন মুকুলের সমারোহ। গাছে গাছে শতকরা ৯০ভাগ মুকুল এসে গেছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
মিষ্টি ও রসালো স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি এবং দেশী লিচুর মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছের ডালপালা। লিচু বাগানগুলোর যেদিকে চোখ যায়, শুধু মুকুলের সমারোহ। ঠাকুরগাঁও সদরের বড় বাড়ি,মুনসির হাট,শিবগঞ্জ, দেবিপুর,লোহাগাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় এবার লিচু গাছের ডালে ডালে প্রচুর মুকুল এসেছে।
লিচু গাছের মুকুল দেখে মালিকরা আশাবাদী, বাগান বিক্রি করে এবার লাভবান হবেন। তবে গতবারে কেউ কেউ করোনার কারণে ভাল দাম পাননি বলে জানান। বৈশাখ মাসে লিচু পাকা শুরু হয় এবং বাজারে পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে লিচু বাগান নিয়ে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। এসব লিচু বাগান নিয়ে ৩ মাস যাবত ব্যবসা চলে।
মুন্সির হাট ও বড় বাড়ি লোকেরা জানান, ঠাকুরগাঁও এবং বোদা থানা আশেপাশে কিছু এলাকায় ভিটা, জমি, বশতবাড়ী এবং ডাঙ্গা জমিতে লাগানো গাছই ছিল লিচুর আবাদ। কিন্তু এখন ব্যাপক আকারে বিস্তৃত হয়েছে এই লিচুর চাষ। অনেকে লিচুর বাগানে বিভিন্ন সবজিরও চাষ করছেন। এতে আরও লাভবান হচ্ছেন তারা। বড় বাড়ি কুদ্দুস মিয়া লিচু বাগান মালিক জানান, ‘একটি বড় গাছে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত এবং সবচেয়ে ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়’।