বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাধারণ স্বাদের চা দিয়ে সাদাসিধে একটা দোকান চালু হয়েছিল। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নানা স্বাদের চা যুক্ত হয়েছে এই দোকানে। ধীরে ধীরে সাধারণ চায়ের সঙ্গে মালাই (দুধের সর), মালাইয়ের সঙ্গে অন্য উপাদানের স্বাদ যুক্ত করে বাড়ানো হয়েছে চায়ের নানা ধরন। একধরনের চা দিয়ে শুরু হয়ে সাত-আট বছরে এখন সেই চা-দোকানে চলছে সাত ধরনের চা। বীরগঞ্জ উপজেলার সদরের পুরনো শহীদ মিনার মোড় সংলগ্ন এলাকায় ‘জাহাঙ্গীরের টি স্টল’ এখন অনেক চা-পিপাসুদের কাছে নানা স্বাদের চায়ের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২ টা পযর্ন্ত শুধু চা-পান করতেই অনেকে এই চা-স্টলে ছুটে আসেন। জাহাঙ্গীরের টি স্টলের সাইনবোর্ডের মধ্যে অনেক ধরনের চায়ের নাম। দোকানের মালিক জাহাঙ্গীরের বাড়ি উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দ কাজল গ্রামে। দোকান থেকে বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। সেখান থেকে তিনি প্রতিদিন দোকানে আসা-যাওয়া করেন। জাহাঙ্গীর আলমের সংগ্রাম এখন এই চা-দোকান নিয়েই।
ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন কলা কৈশল অবলম্বন করে নানা স্বাদের চা যুক্ত হয়েছে এই দোকানে ধীরে ধীরে সাধারণ চায়ের সঙ্গে মালাই দুধের সর মালাইয়ের সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান সহ স্বাদ যুক্ত করে বানানো হয়েছে চায়ের নানা ধরন। বীরগঞ্জে জাহাঙ্গীর এখন চা পিপাসুদের কাছে নানা স্বাদের চায়ের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে তিনি প্রতিদিন দোকানে আসা যাওয়া করেন মালিক স্টলটিতে চা ছাড়া অন্য কোনো খাবার নেই, শুধু চা পিপাসুদের জন্য স্টল টি সাজানো চা। জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবেদককে বলেন, কোনো সাজসজ্জা ছাড়াই সাদা সিদে করে দোকান চালাই নরমাল চা বানাতে বানাতে মনে হইলো এ রকম করলে কিমন হবে কোনটা কেমন হবে সব কিছু নিজে নিজে করছি ,খুব বেশি পুঁজি তার দরকার পড়ে নি তার ,সকালে চা পাতা চিনি ,দুধ ,আনলে আর কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। নতুন রকমের চা পিপাসুদের জন্য এক ভিন্ন স্বাদ ভীর বেড়েছে, সৌখিন পিপাসুদের তিনি মনে করেন নরমাল চা টাই আসল চা আর বাকি আধুনিকতা। তিনি দোকানে সব কাজ একাই করতে ভালোবাসেন তিনি দোয়া ও সাফল্য কামনা করেছেন ।