দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী বলেছেন, একজন মায়েই পারে একটি সুন্দর জাতি উপহার দিতে। হত-দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন যেসব কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে তা প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। ওয়ার্ল্ড ভিশন হত-দরিদ্র উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে স্বাবলম্বি করার কাজ করে যাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে ওয়ার্ল্ড ভিশন না থাকলে তারা নিজেরাই নিজের পায়ে দাড়িয়ে কর্ম করে খেতে পারবে।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এরিয়া প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর আয়োজনে এবং ইন্টিগ্রেটেড লাইভলিহুড টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম এর আওতায় পারিবারিক আয় বৃদ্ধিতে শর্ত সাপেক্ষে অর্থ সহায়তা কর্মসূচীর উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
দিনাজপুর এসিও, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেস্টার গমেজ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলতাব হোসেন, জেলা ভেটেরিনারী কর্মকর্তা ড. আশিকা আকবর তৃষা, উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ গোলাম কিবরিয়া।
সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেস্টার গমেজ বলেন, দিনাজপুর পৌরসভার ৬৫জন,আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৭০জন,শেখপুরা ইউনিয়নের ৫৫জন, চেহেলগাজী ইউনিয়নে ৭৫জন ও শশরা ইউনিয়নে ২০জন মোট ২৮৫টি হত-দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিকাশ খরচসহ প্রতি জনকে ১৮হাজার ৩৩৩ টাকা করে মোট ৫২ লক্ষ ২৪ হাজার ৯০৫টাকা এককালীন পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বি করার জন্য প্রদান করা হচ্ছে। শর্ত হিসেবে প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা গাভী-ছাগল, হাস-মুরগি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য এই অর্থ আয় বৃদ্ধির কাজে বিনিয়োগ করবে তারা। আলট্রা-পর প্রোজেক্ট মডেল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট লাইভলীহুড প্রজেক্টের টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম অফিসার কাজল কুমার দে। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রোগ্রাম অফিসার জোহন মুরমু।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠানে বিকাশ কর্ণার এর মাধ্যমে প্রদানকৃত অর্থ পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করে উপকারভোগীরা।