মঙ্গলবার , ১১ জুন ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাসড়কে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে প্রকৃতি রাঙানো জারুল ফুলের পসরা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুন ১১, ২০২৪ ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি; পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা মহাসড়কে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে প্রকৃতি রাঙানো জারুল ফুলের পসরা। পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা সীমান্ত ঘেঁষা সড়কের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। দেশের মানচিত্রে সর্বউত্তরের সীমানা “ব দ্বিপ আকৃতি বা টিয়া পাখির ” ঠোঁটের মত দেখতে যার তিনদিক ভারত সীমান্তের কাটাতারের বেড়াদ্বারা বেষ্টিত। সড়কের দু’পাশে সমতলে সবুজ চা বাগান এবং সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগে ভারত সীমান্তের লাইটপোস্ট পথিকের চোখ জুড়িয়ে যায়। এরমাঝে সড়কের উপর কোন কোন স্থানে ফুটেছে রাশিরাশি জারুল ফুল। বিশেষ করে পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া সড়কের বাংলাবান্ধা বাইপাস রবীন্দ্রনাথ স্মরণি থেকে তেঁতুলিয়া বন্দরে প্রবেশের কালান্দি টাইয়াগাছ নামকস্থানে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ফুটেছে জারুল ফুল।
বাংলার প্রকৃতিতে দেখা যায় নানা প্রকার ফুলের সমারোহ। বিভিন্ন জাতের অনেক ফুলের মধ্যে মানুষের নজর কাড়ছে বেগুনি রঙের থোকা থোকা জারুল ফুল। পাপড়ির নমনীয় কোমলতা, দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটা নিয়ে প্রকৃতিকে যেন আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছে এ জারুল ফুল। এমন অনিন্দ্যসুন্দর মন মাতানো দৃশ্য কতই না চমৎকার!
জারুল ফুলের আদি নিবাস শ্রীলংকা। জারুল ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন প্রভৃতি অঞ্চলে জারুল গাছের দেখা মেলে। নি¤œাঞ্চলের জলাভূমি ও তবে শুকনো এলাকাতেও এটি ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। জারুলকে বাংলার চেরি বলা হয়। কী অপূর্ব হয়ে ফোটে। চোখ ভরে যায় তার রূপে।
জারুল গাছে এপ্রিল থেকে জুন মাসে ফুল আসে। জারুল গাছ যখন ফুলে ফুলে ভরে যায় তখন চারদিক ঘ্রাণে মোহিত হয় না বটে, দৃষ্টিনন্দন নিলাভ, বেগুনি রাশি শোভায় জনসাধারণ ও প্রকৃতি প্রেমিক সবার চোখ একনজর জুড়িয়ে যায়। আকৃতি ভিন্ন হলেও জারুল ফুলের রং সাধারণত কচুরিপানা ফুলের মতো বেগুনি আর সাদার মিশেল। জারুল ফুল শুধুই চোখের মজা জোগালেও এ গাছের কাঠ ঘর-গেরস্থালির কাজে লাগে। শক্ত ও ভারী বলে জারুল কাঠ নৌকা, লাঙ্গলসহ অনেক আসবাবপত্র ও খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। জারুল কাঠ লালচে রঙের, অত্যন্ত শক্ত ও মূল্যবান।
জারুল গাছের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। এর বীজ, ছাল ও পাতা ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্ণতায় জারুল উপকারী। তবে ইটভাটার ‘ক্ষুধা’ নিবারণসহ নানা কারণে এ গাছটি আগের মতো দেখা যায় না।
বোদা পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর সহকারি শিক্ষক আসমা বেগম বলেন, প্রতিদিন তেঁতুলিয়া থেকে মিনিবাসে কর্মস্থলে যাতায়াতে মহাসড়কের ধারে কৃষ্ণচুড়া ফুল ও জারুল ফুল দেখে চোখ জুড়িযে যায়। অনেক সুন্দর গাছ হওয়ায় আমাদের এলাকার পরিবেশকে বেশ সজ্জিত করেছে। এই সৌন্দর্যময় পরিবেশ দেখে যে কেউ বিমোহিত হয়। আশ্চর্যের বিষয়, জারুল ফুলে ভরপুর এই প্রাকৃতিক পরিবেশে মুগ্ধ হয়ে পথের পথিক কিছুটা সময় হলেও এখানে ব্যয় করে।
বিশেস করে সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বেড়াতে আসা সৌন্দর্য পিপাসুদের গ্রীষ্মের শুরুতে জারুলের উজ্জ্বল প্রস্ফুটনে চারিদিকে উচ্ছলতার বিকিরণ সব সৌন্দর্য-পিপাসু মানব মনকে মুগ্ধ করে রাখে। এ যেন গ্রীষ্মের প্রচÐ দাবদাহে এক টুকরো রঙিন হিমেল হাওয়া।
কবি জীবনানন্দ দাশের কাব্যে গ্রীষ্মের খরতাপের একটু প্রশান্তিতে বেগুনি আভার জারুল ফুলের সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। কবি তার কবিতায় বলেছেন-এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে- সবচেয়ে সুন্দর করুণ।

 

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে অনুর্দ্ধ-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন !

ঠাকুরগাঁওয়ে আদালত অবমাননার দায়ে কৃষি কর্মকর্তা জেল হাজতে

বিরামপুরে কালব এর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বীরগঞ্জে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন

লংকাবাংলা ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণকালে চেম্বারের সাবেক সভাপতি

ফুলবাড়ীতে অজ্ঞাত রোগে একদিনের ব্যবধানে একই গ্রামে চারটি গরু ও চারটি ছাগলের মৃত্যু

পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করতে প্যারিসে মেসি

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে যুবক আটক

রাণীশংকৈল পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে সমান ভাবে উন্নয়ন করা হবে —মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান

বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্র ও আগুন সন্ত্রাস মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা উন্নয়নের ধাপ অব্যাহত রাখবেন -হুইপ ইকবালুর রহিম