নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ ৫আগস্ট সরকারের পতনের পর দিনাজপুরে নবাবগঞ্জের জাতীয় উদ্যান আশুরার বিলে লুটপাটের পর এখন সড়কের ইট ও কাঠের সেতুর খুঁটি নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তকারীরা। আশুড়ার বিলের পাড়ের প্রায় ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা প্রশাসনের রেস্ট হাউস, পুলিশ বক্স, পর্যটকদের বসার ছাউনীসহ বিভিন্ন স্থাপনার সব উপকরণ লুটপাট হয়ে গেছে। এমনকি উদ্যানে দর্শনার্থীদের জন্য টিনের চালা দিয়ে নির্মিত মসজিদের সরঞ্জাম খুলে নিয়ে যায় তারা।
সোমবার আশুড়ার বিলের এ অবস্থা দেখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি দল সরেজমিনে পরিদর্শনে যায়। জাতীয় উদ্যান আশুরার বিলে লুটপাটের খবর পেয়েছি, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনবল সংকটের কারণে তাৎক্ষণিক আমরা যেতে পারিনি। তবে খুব শিগগিরই লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে মামলা ও খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করা হবে বলে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনিসুর রহমান।
এদিকে লুটপাটের ঘটনার পর থেকে জাতীয় উদ্যান এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা না থাকায় কোনো দর্শনার্থী যাচ্ছে না সেখানে। এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদন কেন্দ্র আশুরার বিলে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীর জনসমাগম ঘটে। কিন্তু লুটপাটের পর এখানে কেউ আসছেন না।
এ বিলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কসমেটিক দোকান, ফুচকা ও পানের দোকানসহ লুটপাট করা হয়েছে।
উদ্যানে নাগরদোলা ও চরকির মালিক নবী নুর ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলে খবর পাই, আশুরার বিলের সবকিছু লুটপাট হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে বিলে এসে দেখি তার একটি চরকি ভাঙচুর ও একটি দোলনা নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তকারীরা। এ ছাড়া উদ্যানে থাকা দর্শনার্থীদের বসার স্থান, পাঁচটি বসার ছাউনির টিনের চালা, পিলার, রেস্ট হাউসের এসি, আসবাবপত্র ও টিনের চালা নিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুর রহমান জানান, জাতীয় উদ্যান আশুরার বিলে লুটপাটের খবর পেয়েছি, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনবল সংকটের কারণে তাৎক্ষণিক যেতে পারিনি। সোমবার উপজেলা প্রশাসন থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। খুব শিগগিরই লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে মামলা ও খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।