দিনাজপুরে গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাঠে রাষ্ট্রসংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনে ছাত্র-জনতার মতামত নিতে বিভাগীয় সফরের অংশ হিসেবে দিনাজপুরের মতবিনিময় করছেন তারা।
রবিবার বিকালে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দিনাজপুরের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর বিভাগীয় টিমের প্রধান ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু সাঈদ লিয়ন বলেন, দূর্নীতি বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ, চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট, মাদক বন্ধে অতি দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহন, রাস্তাঘাট সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলেছি।
আবু সাঈদ লিয়ন আরও বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে কায়েম করা ফ্যাসিবাদের মুলোৎপাটন করতে বদ্ধ পরিকর। আমরা জাস্ট করতে বলেছি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, সহ সমন্বয়ক মুনিম ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় টিম সদস্য রকিব মাসুদ, মিথুন, কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক এস আই শাহিন, সজিব ইসলাম, মিশু আলী সুহাস, রেদওয়ান ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় টিম সদস্য সজিব ইসলাম, রিফাত ইসলাম।
এর আগে রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) অডিটোরিয়াম ১-এ হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর বিভাগীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন ও পরবর্তিতে সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে শুধুমাত্র। জেলা পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন কমিটি নেই। দ্রæত সময়ের মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে নিয়েই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে সব ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদেরকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে সরকার গঠন করা হয়েছে এটি কোন দলীয় সরকার নয়।এটি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে তৈরি ছাত্র-জনতার একটি সরকার। এই সরকার দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের বৈষম্য সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। তাদেরকে কিছু সময় দিতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শেষ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এরপর রবিবার দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট চত্বরে শহীদ পরিবারের সাথে তারা সাক্ষাৎ করেন।এর আগে সকালে রানীগঞ্জে শহীদ রাহুলের কবর জিয়ারত করেন তারা।