পঞ্চগড় প্রতিনিধি \ আহমিদয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হলরুমে প্রেস ব্রিফিং এ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল বা কোন সংগঠন দেখে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৩টি মামলায় ১৬৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থিরচিত্র দেখে এবং গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও যাচাই-বাছাইয়ে চিহ্নিত করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুজব সৃষ্টিকারী, উস্কানিদাতা ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের যুবক জাহিদ হাসান হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত দু’জনও আছেন। তারা হলেন পঞ্চগড় জেলা শহরের তুলারডাঙ্গা মহল্লার আফছার আলীর পুত্র মো. রাসেল (২৮) ও দক্ষিণ রাজনগর মহল্লার নুর আজাদের ছেলে ইসমাইল হোসেন ঝুনু (২৩)। গ্রেফতার এ দুজন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে দুজনই ৩ দিনের রিমান্ডে আছেন। হত্যাকান্ড নিয়ে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামলাতে আমাদের প্রায়োরিটি ছিল কোন প্রাণহানি যাতে না ঘটে। এজন্য কোনো কোনো মহল আমাদের নানা ঘাটতির কথা উল্লেখ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ ও নানা কৌশল অবলম্বন করি। এতে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্যর্থ হলে এর প্রভাব গোটা দেশেই পড়ত বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন তদন্তে কারো নাম আসলে কেউ ছাড় পাবেনা। অকারণে কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না। তবে অপরাধীদের মনে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ও আতঙ্ক থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি দেশের স্বার্থে গণমাধ্যম কর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানান।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞাসহ পদস্থ কর্মকতাগণ উপস্থিত ছিলেন।