বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর মাত্র কয়েক দিন বাকী। আর এ উৎসবকে কেন্দ্র করে পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রস্তুতি। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন মন্দির এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাটির কাজ শেষে এখন রংতুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আবার কেউ রং মিশিয়ে দিচ্ছেন। তাদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন তারা। প্রতিমার পরিপূর্ণ রূপ দিতে রংতুলির শেষ আঁচড় দেওয়া হচ্ছে। কেউ আবার সাজসজ্জার কাজ করছেন। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ একটি পৌরসভার ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশিরভাগ জায়গায় প্রতিমা গড়া শেষ। শিল্পীর রঙের তুলিতে সেজেগুজে নতুন রূপ ধারণ করছেন দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী। উদযাপন পরিষদের কমিটি সূত্রে জানা যায়,এবার উপজেলার শিবরামপুর ১৭,পলাশবাড়ী ১৪,শতগ্রাম ১৪,পাল্টাপুর ১২,সুজালপুর -১৫,নিজপাড়া ১৩,মোহাম্মদপুর-২০,ভোগনগর ৮,সাতোর -২০,মোহনপুর ৯,মরিচা ইউনিয়নে ৯ ও পৌরসভায় ৯টি সহ ১৬০টি সর্বজনীন পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পৌরসভার সুজালপুর শিমুল তলা সনাতন ধর্মাঙ্গণ সার্বজনীন মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের ধুলট গ্রামের খরগো
সহ কয়েকজন। তিনি বলেন, আমি একজন প্রতিমাশিল্পী। দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলাসহ মন্দিরে কাজ করছি। আমাদের কাজ করতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিনের মতো সময় লাগছে। যেহেতু পূজা সামনে, এজন্য আমরা একটু ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছি। আশা করছি ষষ্ঠীর এক থেকে দুদিন আগে আমাদের প্রতিমার কাজ শেষ করতে পারব। রংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। এটি শেষ করতে এক থেকে দুদিন সময় লাগবে। দুদিন পরে আমরা অন্য কোথাও চলে যাব। তিনি আরও বলেন, এবছর ৭টি প্রতিমা তৈরি কাজ পেয়েছি। শিমুল তলা কালিবাড়ী মোড় মণ্ডপে ২০ হাজার টাকায় চুক্তিতে ৭দিন ধরে কাজ শুরু করেছি। চারজন শ্রমিক নিয়ে প্রতিমার কাজে নিয়োজিত আছি। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর কাজে টাকা খুবই কম।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক মহেশ চন্দ্র রায় বলেন,আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবছর প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ৫শ’ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন,দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়,সেজন্য প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী বলেন,প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হব।