দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১০ তলা ভবনের লিফট অচল নিয়ে তুলকালাম হয়েছে।
স্বল্প পরিসরে ওই ১০তলা ড. মুহাম্মদ কুদরত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি শেষ হয়নি। প্রতি তলায় যাতায়াতে রয়েছে উন্নতমানের ৭টি লিফট। প্রায় সময়ই লিফটগুলো যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে বন্ধ থাকে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে,উদ্বোধনের ১ বছরের মধ্যেই এই অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত হাবিপ্রবির একাডেমিক ভবন-৪ এর (ড.মুহাম্মদ কুদরত-এ-খুদা ভবন) লিফট ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। ৩০অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ২২ব্যাচের ১৮জন শিক্ষার্থী উক্ত বিল্ডিংয়ের একটি লিফটে আটকা পড়ে। কিছুসময় পর প্রক্টরের সহয়তায় তাদের নিরাপদে বের করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, শিঘ্রই এ ধরনের আর সমস্যা হবে না বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শামসুজ্জোহা।
লিফটে আটকে পড়ার ঘটনায় হাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শামসুজ্জোহা জানান, লিফটে আটকে পড়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক গিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করি। লিফটে ১৫জনের ধারণ ক্ষমতা হলেও শিক্ষার্থীরা নির্দেশনা অমান্য করে ধারণা ক্ষমতার অতিরিক্ত উঠে সাময়িক লিফটটি চলমান হলেও কিছুসময় পর আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেটরের অভাবও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী হতে পারে। লিফট আটকে যাওয়া বা লিফট এ সার্বক্ষনিক লোক দেয়ার বিষয়সহ লিফটের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য হাবিপ্রবি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলেছি। দ্রæত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
লিফট সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে হাবিপ্রবির পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও কার্যবিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড.মো: মনিরুজ্জামান বাহাদুর জানান, কোম্পানির সাথে রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি থাকে। তবে লিফটে ধারণা ক্ষমতার অতিরিক্ত উঠে সাময়িক লিফটটির এ সমস্যা নাকি যান্ত্রিক কোন ত্রæটি। এসব নিয়ে কাজ করছি। আমরা বিশ্বদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন তাই বিষয়গুলি অবগত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।