মোঃ শামসুল আলম, বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ দিনাজপুর জেলাধীন চিরিরবন্দর উপজেলার বে-সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইস্তিকার আহমেদ আইডি ৫৮২৩ গত ১২ নভেম্বর মঙ্গল রাতে সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অধ্যক্ষ আমাকে অন্যায় ভাবে বহিস্কার করেছে। আমি এর বিচার চাই। ইস্তিকার আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এর স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপারে ইতিপুর্বে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লেঃ কর্ণেল কাজী সাহাবুদ্দীন বরাবরে আবেদন করার পরও তিনি আব্দুর রহমান এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ৩১ অক্টোবর রাতে প্রতিষ্ঠানের ৫-৬শ আবাসিক শিক্ষার্থী আন্দোলন করে। সে সময় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আব্দুর রহমান স্কুল থেকে চলে যান। ঐদিন অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সকল দাবী মেনে নিয়ে ১নভেম্বর থেকে স্কুল ছুটি ঘোষনা করেন। ১নভেম্বর শিক্ষাথীরা আপন আপন বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে আমার অভিভাবকসহ আমাকে স্কুলে ডেকে বলা হয় কিসের জন্য আন্দোলন করা হয়েছে। আমরা আন্দোলনের বিষয় তুলে ধরি। সেদিন আমাদের কিছু না জানানো হলেও ১২নভেম্বর রাতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমার বাবা কামরুল হাসানকে ফোন করে বলা হয় আপনার সন্তানকে আর স্কুলে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। আমরা তাকে বহিস্কার করেছি। আপনি কালকে এসে আপনার সন্তানের ছাড়পত্র নিয়ে যাবেন। ইস্তিকার অভিযোগ করে বলেন, সেদিন ৫-৬শ শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল অথচ ৪০-৫০ জনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে টিসি প্রদান করা হয়। মাত্র ২০দিন পর আমার ফাইনাল পরীক্ষা এ অবস্থায় আমাকে বহিস্কার করা হল। আমার ভবিষ্যত কি হবে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে ইস্তিকারের বাবা কামরুল হাসান বলেন, ফাইনাল পরীক্ষার মাত্র ২০দিন আগে আমার সন্তানকে অন্যায় ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। আমি এখন এই সন্তানকে নিয়ে কোথায় যাবো। সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের মাধ্যমে আমি এর বিচার চাই।