বৃহস্পতিবার , ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খানসামায় ১২০ পরিবারের ৩০ বিঘা জমির ধান নষ্ট করল প্রতিপক্ষ

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ৩০, ২০২৫ ৫:২৯ অপরাহ্ণ

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ১২০ পরিবারের ৩০ বিঘা জমির বোরোধান নষ্ট করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত ২৬ জানুয়ারি রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়ার আত্রাই নদীর চরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। গত ২৭ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে উপড়ে ফেলা জমিতে পুনরায় নতুন করে ধানের চারা রোপন করেছেন জেলে পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়ার জেলেদের ১২০টি পরিববার মাছ ধরার পাশাপাশি আত্রাই নদীর চরে স্বাধীনতার পর থেকেই ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এরই মধ্যে ধানের চারা রোপনের ২০দিন অতিবাহিত হওয়ার পর রোপিত চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ করছেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তারা বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের ভোগডোমা এলাকার রহিম উদ্দিন, কলিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলামসহ আরো কয়েকটি পরিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটায় বলে দাবি করেন। বর্তমানে জেলেদের এখন অবসর সময় কাটছে। ইতিপূর্বেও দুই উপজেলার নদীর সীমানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপর দুই উপজেলার প্রশাসনের মাধ্যমে নদীর উপরে সীমানা নির্ধারণ করার পরেও এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জেলে অমূল্য বলেন, আমাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমাদের ছেলেরা নদীতে মাছ ধরতে পারছে না। আমরা এই বোরো ধান চাষ করে খাই। আমাদের নিজস্ব কোনো সম্পত্তি নেই। এগুলা করেই আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভুক্তভোগী জনৈক জেলের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী রাতে নদীতে মাছ ধরতে গেলে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে থাকেন প্রতিপক্ষের লোকজন। আমরা দশে মিলে বাঁশের ঝাড় নদীতে দিয়েছি। সেইখানে তারা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে আমাদের চাষকৃত মাছ মেরে ফেলে। আমরা অনেক কষ্ট করে এই বোরো ধান লাগিয়েছি। সেই ধানও তারা নষ্ট করে দিল। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
ভুক্তভোগী জেলে মো. তফিকুল ইসলাম বলেন, নদীর ধারে ধান লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। ইউএনও স্যার বলেছিলেন, নদীর চরের নিচের দিকে চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতে। তবুও তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের অন্যায়, অত্যাচারসহ হুমকি-ধামকি প্রদান করছে। আমরা অনুমতি নিয়েই ধান লাগিয়েছি। এখন ধানের মাঠে সার দেয়ার সময় হয়েছে অথচ তারা ধান ক্ষেতগুলো নষ্ট করে দিল। এর সুষ্ঠু বিচারসহ ক্ষতিপূরণ চাই। তা না হলে আমরা পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনে যাবো।
অভিযোগের বিষয়ে রহিম উদ্দিন বলেন, ২০০৭ সালে তাদের সঙ্গে আমার একটা ঝামেলা হয়। এরপর একটা মামলা করি। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে মামলাটি উঠিয়ে নেই। এছাড়াও তারা একটি লিখিত দেয় আর কোন দিন নদীতে আসবে না। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে একই ঘটনা আবার ঘটাইলো।
খামারপাড়া ইউপি সদস্য মো. আশরাফ আলী বলেন, জেলেরা মাছ ধরার পাশাপাশি প্রতিবছর ২০-৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করে থাকেন। এ দিয়েই তারা জীবিকা নির্বাহ করে। কে বা কারা গভীর রাতে তাদের স্বপ্নের ফসল নষ্ট করে দেয়। এটা খুবই নিন্দনীয় কাজ। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চাই।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফজলে এলাহী বলেন, এক উপজেলার জায়গায় অন্য লোক ধান রোপন করলে আমরা কি করবো? তারা সেটেল না হয়ে কেন এ কাজ করল? তাদেরকেসহ দুই উপজেলার প্রশাসন নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, এ বিষয়ে জেলায় আলোচনা করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দুই উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা বসে এ সমস্যার সমাধান করবেন। যদি সমাধান না হয় তাহলে জরিপ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা হবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বীরগঞ্জে বাকাসস এর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালিত

আটোয়ারী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা

বীরগঞ্জে লুডু খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে অটো চালককে পিটিয়ে আহত

পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল

ঠাকুরগাঁওয়ে সাড়ে ৫ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কাহারোল-বিরল-খানসামাকে গৃহহীন-ভুমিহীন মুক্ত ঘোষণা ও উপকারভোগীদের দলিল ও চাবি হস্তান্তর

পীরগঞ্জে শীতার্তদের পাশে আমেরিকা প্রবাসি

পঞ্চগড়ে সীমান্ত গলিয়ে আসছে ভারতীয় আলু \ ক্ষতির আশংকায় আলুচাষীরা

পীরগঞ্জে ট্রাক ট্যাংক-লড়ি শ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

হরিপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা