তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
সর্ব উত্তরের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকে সীমান্ত হত্যায় বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) বিকালে উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তের জিরো লাইনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । এসময় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঠাকুরগাঁও বিজিবির জি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম রাব্বানী এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলিগুড়ি সেক্টর কমান্ডার শ্রী পে কে শিং ।
গত ৮ মার্চ পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায় চোরাকারবারি আল আমিন (৩৬) । নিহত আল আমিন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র। এই ঘটনার দুইদিন পর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি সূএ জানায়, ১৫/২০ জন চোরাকারবারী বাংলাদেশে গরু পাচার করতে চেষ্টা করলে বিএসএফের কর্তব্যরত সদস্যরা বাধা প্রদান করে, এ সময় তাদের সাথে চোরাকারবারীদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যকে দা দিয়ে আঘাত করে চোরাকারবারীরা। বিএসএফ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে ২ রাউন্ড ফায়ার করে এতে এক জন প্রাণ হারায়৷
আলোচনা শেষে ঠাকুরগাঁও বিজিবির জি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফ সীমান্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আমরা বিএসএফকে উক্ত হত্যাকাÐের জন্য কঠোরভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি। এই হত্যাকান্ড অপ্রত্যাশিত ও কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার জন্য বিএসএফ অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে বিএসএফ সর্বাতœক ব্যবস্থা গ্রহন করবে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে আশ^স্ত করেছে। বিজিবি পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দ্রুত ফেরত চাওয়া হলে, বিএসএফ জানায় -তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের পুলিশের মাধ্যমে লাশ ফেরত দেওয়া হবে।