সোমবার , ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিচুর গুটিতে ছেয়ে গেছে লিচু বাগান, কিন্তু তাপদাহে ফলন শঙ্কায় চাষী

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
এপ্রিল ৭, ২০২৫ ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে-ফলের সমারোহ। চারিদিকে মৌ মৌ গন্ধ। কোনো গাছে মুকুল থাকলেও বেশীরভাগ গাছেই ফলন এসে গেছে। এই ফলন দেখে লিচু চাষি এবং যারা বাগান কিনেছেন তারা খুশি। চৈত্র মাসের শেষদিকে গাছগুলোতে গুটি আসতে শুরু করে। কিন্তু বৈশাখের শুরু থেকে তাপদাহ আর টানা অনাবৃষ্টির কারণে পুড়েছে গাছের মুকুল, এখন লিচুর গুটির বোটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে গুটি। টানা অনাবৃষ্টি আর মৃদু তাপপ্রবাহে কোথাও কোথাও ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি। প্রথম অবস্থায় গাছে মুকুলের সমারোহ দেখে আশান্বিত হলেও এখন লিচুর ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিনাজপুরের দেশ সেরা লিচু চাষিরা।
দিনাজপুরের বিভিন্ন বাগানে, প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙিনায় লিচু গাছে থোকায় থোকায় লিচুর গুটি ঝুলছে। অনাবৃষ্টি আর তাপদাহের পরেও চাষিরা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে গতবারের চেয়ে ফলন কম হবে বলে জানান শঙ্কায় লিচু চাষিরা।
দিনাজপুরের লিচু মানে মিষ্টি ও রসালো স্বাদ আর বৈশিষ্ট নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশী লিচু গুটি ফলনে নুয়ে পড়েছে এখন গাছের ডালপালা।
এবারও ৫০০ থেকে ৬০০কোটি টাকার লিচু উৎপাদন হবে। তবে বেসরকারি হিসাবে লিচু উৎপাদন হবে এর চারগুণ বেশি। যার মূল্য হাজার কোটি টাকা।
উদ্ভিদবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করা, সফল মৌ-খামারী মোসাদ্দেক হোসেন জানান, লিচু চাষের এলাকা দিনাজপুরে লিচুর ফলন ভাল হয়েছে। ব্যাপক লিচু গাছে মুকুল এসেছিল। কিন্তু এবছর বোম্বাই লিচুতে মুকুলের পরিবর্তে অধিকাংশ গাছে পাতা মুকুল এসেছে।অন্যদিকে মুকুল অবস্থায় বৃষ্টিতে ফুল জ্বলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে তাপমাত্রার ক্রমশ বৃদ্ধিতে পুষ্পমঞ্জুরিতে আসা লিচুর গুটি ঝরে পড়বার আশঙ্কা আছে।ফলে এবছর লিচুর ফলন আশঙ্কাজনক হারে কমবার ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে।
পুলহাট-মাসিমপুরের আসাদুজ্জামান লিটন জানান, দিনাজপুরের দক্ষিণ কোতয়ালী ও মাসিমপুরসহ আশেপাশে কিছু এলাকায় ভিটা, জমি, বশতবাড়ী এবং ডাঙ্গা জমিতে লাগানো গাছই ছিল লিচু আবাদ ছিল সীমিত। কিন্তু এখন এর বিস্তৃতা ব্যাপক।
বিরলের সফিকুল ইসলাম জানান, একটি বড় গাছে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত এবং সবচেয়ে ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়। এখন লিচুর গুটি এসেছে এক মাস পরই পাকা টসটসে লিচু বাজারে উঠবে।
দিনাজপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান আছে ৫ হাজার ৪৫০টি। এর মধ্যে বোম্বাই লিচু ৩ হাজার ১৭০ হেক্টরে, মাদ্রাজি ১ হাজার ১৭০ হেক্টরে, চায়না থ্রি ৮০৫ হেক্টরে, বেদানা ৩১৮ হেক্টরে, কাঁঠালি ৫৬ হেক্টরে এবং মোজাফফরি লিচুর বাগান আছে ১ হেক্টর জমিতে। জেলায় লিচু বাগানের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। বাগান ছাড়াও কিছু সংখ্যক বাড়ি, বাড়ি সংলগ্ন ভিটা জমিতে ২/৪টি করে লিচু গাছ রয়েছে। প্রায় ১৩ উপজেলায় লিচু চাষ হলেও সদর ও বিরল উপজেলার লিচুর চাষ বেশি।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া বিবেচনায় কোনো অবস্থাতে দিনে তাপমাত্রা বেশি থাকা অবস্থায় গাছে পানি দেওয়া বা স্প্রে করা যাবে না। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে গেলে গাছে স্প্রে করে পানি ছিটাতে হবে, কীটনাশক দিতে হবে। সেই সঙ্গে গাছে কিছু অনুখাদ্য দিলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঠাকুরগাঁওয়ের হ্যাপি জুয়েলার্সে গ্রাহক দম্পত্তিকে মারপিটের অভিযোগে মামলা মালিক ও তার ছেলে গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁওয়ে কোয়েল পাখির খামার করে জাহিদুলের ভাগ্য পরিবর্তন

বিভিন্ন আয়োজনে বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ীতে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত হয়েছে

পীরগঞ্জে রংধনু শিশু সংগঠনের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

বাঙালির আশা ভরসার আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব(পুরাতন) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি শিল্পী, সম্পাদক হুমায়ুন

দূ’র্ণীতির মা’মলায় সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারী জে’লহা’জতে

বীরগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক এর লেট্রিন হস্তান্তর ও শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠান

বিরল দেহবিহীন শিশুর মাথা উদ্ধার

খানসামায় সডক এবং পানি পথে নিরাপত্তা বিষয়ক গণসচেতনতা কর্মশালা