দিনাজপুর প্রতিনিধি \
গত আমন মৌসুমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি না করায় দিনাজপুরের ৩১৬টি সিদ্ধ ও আতপ চালকলের লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ। এদিকে চালকল বন্ধ হলে মালিকপক্ষের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শ্রমিকরাও।
গত আমন মৌসুমে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেনি লাইসেন্স বাতিলকৃত চালকল মালিকরা। এ কারণে তারা কোনো চাল সরবরাহ করেনি সরকারি খাদ্য গুদামে। চলতি বছর এ নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয় খাদ্য বিভাগ। স¤প্রতি জেলার ২৯৬টি সিদ্ধ ও ২০টি আতপ চালকলের লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ। লাইসেন্স বাতিলের পর চাল উৎপাদন করতে পারবে না কোন চালকল।
চালকল মালিকরা বলছেন, ধানের ঊর্ধ্বমুখী দামের ফলে লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তবে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছ থেকে আরেকবার সুযোগ চান মিল মালিকরা। মিলগুলোতে অনেক শ্রমিক কাজ করে। মিল না চললে তাদের বেতন দেয়া সম্ভব হবে না। এতে বেকার হয়ে পড়বে অনেক শ্রমিক।
দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রæপের সভাপতি মো. মোছাদ্দেক হুসেন বলেন, এভাবে মিল বন্ধ করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মিল মালিকরাসহ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শ্রমিকরাও। পথে বসবেন এসব চালকলের শ্রমিকরা। বেশিরভাগ মিল মালিকই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। ফলে মিল বন্ধ থাকলে বিপদে পড়বেন তারা। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শ্রমিকরাও।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, লাইসেন্স বাতিলের পরও যদি কেউ ধান-চাল মজুত করে ও উৎপাদন কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে তারা বিষয়টি বিবেচনা করতে স্বারকলিপি দিয়েছেন। সেটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।