পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: সমাজে জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধ, জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রচলিত নেতিবাচক জেন্ডার ধারণাগুলোর পরিবর্তন এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে যুব ও যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী “সমতায় তারুণ্য” প্রকল্পের আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ল্যাম্পপোস্ট তারে কার্যালয়ে এ আয়োজন করে। ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন ল্যাম্পপোস্ট- এর প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক সারোয়ার কবির সবুজ, মুনতারিন মিম। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ল্যাম্পপোস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি মহিউদ্দিন জনি।
১ম দিন মঙ্গলবারের ওয়ার্কশপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক নসরতে খোদা রানা, মানবাধিকার কর্মী নাহিদ পারভীন রিপা।
২য় দিন বৃহস্পতিবার ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বাংলাদেশ হোসেন সাধারণ সম্পাদক আবু তারেক বাঁধন প্রমুখ। প্রথম ওয়ার্কশপে দিনব্যাপী ৩০ জন যুবক ও যুব নারী অংশগ্রহণ করেন। পরে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
ল্যাম্পপোস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি মহিউদ্দিন জনি জানান, ২০২৭ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশের ৮টি বিভাগেই প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও দেশীয় যুব-নেতৃত্বাধীন সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট।
তিনি আরো জানান, ‘সমতায় তারুণ্য: ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি’ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকবে যুব ও যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠন, জাতীয় যুব পরিষদ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও সব বৈচিত্র্যের তরুণ, ছাত্র-শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক), স্থানীয় তরুণ কনটেন্ট নির্মাতা, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে প্রকল্পের প্রত্যক্ষ জনগোষ্ঠী সর্বমোট ১৩ হাজার ৫১৫ জন। এদের মধ্যে স্থানীয় ২৫২টি যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনের ১২ হাজার ৬৯০ জন যুব সদস্য, জাতীয় যুব পরিষদের সদস্যগণ, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, কনটেন্ট নির্মাতা এবং গণমাধ্যমকর্মী। এ ছাড়া প্রকল্পটি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশি আরও ২০ লাখ মানুষের কাছে জেন্ডার সমতা ও নেতিবাচক জেন্ডার ধারণাগুলোকে পরিবর্তন করার বার্তা পৌঁছে দেবে।