দিনাজপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২২শ্রাবণ জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়ান দিবস পালিত হয়েছে শহরের কালিতলাস্থ গ্যালাড়ী ষড়ং কার্যালয়ের হলরুমে।
জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মানস ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি রাজিউদ্দিন চৌধুরী ডাবলু ও কোষাধ্যক্ষ সুমন কান্তি রায়। আলোচনা করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা, সম্মিলিত সাংস্কৃতকি জোট দিনাজপুরের সভাপতি সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রফেসর নুর-এ-আল রনি, কবি ও প্রবন্ধিক মাসুদ মুস্তাফিজ, প্রফেসর কামরুজ্জামান গোপন, কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও গবেষক বিধান দত্ত ও সোহাগ কুমার ব্যানার্জী। বিশ্ব কবি প্রয়ান দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলির সুরে সুরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী মোকসেদ আলী,স্বপ্না রায়, শ্যামলী রায়, প্রিয়াংকা দাস চৈত্রী, সুমন কান্তি রায়, অর্চনা সাহা, প্রিয়াংকা ঘোষ, প্রজ্ঞা ঘোষ, অগ্নীক দাস বনন, মিলি রায়, সাধনা দাস। তবলায় ছিলেন রতন দাস।
বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকবাদ একসাধে ধারণ করেছিলেন। কবি বুঝতে পেরেছিলেন ছোট ছোট দেওয়াল মানুষকে বিভাজন করে রাখে। এই দেওয়াল আমাদের তুলে দিতে হবে। সারা বিশ্বের মানুষকে তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে এক করার চেষ্টা করেছিলেন। সভার শুরুতে দিনাজপুরের বিশিষ্ট সঙ্গীত ওস্তাদ বিজন অধিকারীর মৃত্যুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।