আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রানীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)থেকে:
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনাভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্রে আসা মানুষের মুখে মাস্ক দেখা গেছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, শরীরে শরীর ঘেঁষে চলে টিকাদান কার্যক্রম। এতে স্বাস্থ্য উপেক্ষিত করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলাফেরা করলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের প্রধান ফটকে বসে তিনজন টিকা নেওয়ার জন্য আগেই নিবন্ধন করা কাগজে ক্রমিক নম্বর, পেশা লিখে দিচ্ছেন। সেখান থেকে টিকাদান কক্ষের বাইরে আরেকজন ক্রমিক নম্বর চিহ্নিত করে টিকা প্রয়োগের তারিখ ও পরবর্তী টিকা প্রয়োগের তারিখ লেখে দিয়ে নিবন্ধনের অর্ধেক কাগজ ছিঁড়ে নিচ্ছে। এরপর অর্ধেক কাগজ সুবিধাভোগীর হাতে ধরিয়ে দিয়ে টিকা প্রয়োগ কক্ষে পাঠাচ্ছেন। ক্রমিক দেওয়া থেকে শুরু করে শনাক্তকরণ এবং টিকা প্রয়োগের স্থানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
টিকা নিতে আসা মো. শাহনেওয়াজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী টিকা নিতে আসি। এ সময় আমাদের গাদাগাদি পরিবেশের মধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের লোকবল কম, তাই মানুষকে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা তদারককারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের মোট টিকা এসেছে ১ হাজার ৪০০টি ভাওয়াল। টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে। এযাবৎ এখান থেকে ৭০১টি টিকা মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে।’ বৃহস্পতিবারসহ ৯০০টি টিকা প্রয়োগের তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।