বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের এক যুবতীর সাথে গত মঙ্গলবার রাতে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় হাতে-নাতে ধরা পরে। জানা যায় আটককারীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত তিন লক্ষ টাকার রফাদফার বিনিময়ে রক্ষা পান ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ ইউনুস আলী। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে রবিবার জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী অফিসের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। সেখানে ঐ যুবতীর সাথে সুযোগ বুঝে বিভিন্ন সময় দৈহিক মেলামেশা করতেন। স্থানীয় এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদেরকে অসামাজিক কার্যকলাপে নাতে নাতে ধরে ফেলে এবং তাদের চাপের মুখে তিন লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়ে রক্ষা পেয়ে পরের দিন বুধবার তার সন্তান অসুস্থ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে নিজ বাড়ি পঞ্চগড়ে চলে যান। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মুহিববুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় জনৈক এক ব্যাক্তি আমাকে ফোনে বলেন ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী যুবতীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে ধরা পড়ে আটক রয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে নৈশ্য প্রহরী মিজানুর রহমানকে ফোন করে ঘটনাটি জানতে পারি। পরদিন বুধবার সকালে বিষয়টি দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেন স্যারকে চিঠি দিয়ে অবগত করি। এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আমাকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেছেন এবং আমি তৎক্ষনাৎ বিষয়টি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্প্রসারণ পরিচালক দেবাশীষ দাশ স্যারকে অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্প্রাসারণ পরিচালক দেবাশীষ দাশের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে অভিযুক্ত ডাঃ ইউনুস আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মাষ্টাররোলে কর্মরত নৈশ্য প্রহরী মোঃ মিজানুরের সঙ্গে রবিবার রাতে কথা বললে তিনি বলেন, স্যার আমাকে ফোনে বলার পর আমি গিয়ে দেখি ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী স্যারের রুমে কয়েক মাস আগে ট্রেনিং নেয়া সেই যুবতী, স্থানীয় অজ্ঞাত ৫- ৬জন ব্যক্তিকে দেখতে পাই এবং দেখি স্যারের নিকট থেকে একটি চেক লিখে নিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসছে ।