বিকাশ ঘোষ ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি ভরা বর্ষা মৌসুমে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা চলিয়ে যাচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সরজমিনে উপজেলার গোলাপগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, কারেন্ট জালের রমরমা ব্যবসা চলছে। ব্যবসায়ীরা হাটের দিন হলে কৌশল অবলম্বন করে অবৈধ কারেন্ট জাল হাঁটের বিভিন্ন স্থানে রেখে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের নেই কোন অভিযান। যাহার কারণে কারেন্ট জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের পোনা।ফলে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর নানান প্রজাতির মাছের বংশ বিপন্নতার মধ্যে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।শুধু গোলাপগঞ্জ হাটে নয়, এইসব অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ এ কারেন্ট জাল আশে-পাশের উপজেলাসহ কয়েকটি হাট বাজারে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রয় করে থাকেন।শুধু নদী খালে সীমাবদ্ধ নয়, বিল-ঝিলেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই কারেন্ট জাল, ফলে এ জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে দেশি প্রজাতির ছোট-বড় সব ধরনের মাছের পোনা।এমনকি মাগুড়, শিং, কই, পুঁটি, মোয়া, চাঁন্দা ডিমওয়ালা মাছ পর্যন্ত এই জালের ফাঁদে আটকা পড়ছে। আর এসব প্রজাতির মাছ এখন প্রকাশ্যে বিভিন্ন স্থানে মাছ গুলো বিক্রি হচ্ছে।অথচ বীরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিস থাকা স্বত্ত্বেও তারা বিনা কারণে নীরব থাকছে। এলাকাবাসি জানান, কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের বাড়িতে লাখ টাকার কারেন্ট জাল মজুদ রয়েছে। তারা সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা করে আসচ্ছে।আর সরকারি নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে এ অবৈধ কারেন্ট জাল উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা জেলে ও মৎস্য শিকারীরা কিনে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার নদ-নদী বিলে খালে দেশী প্রজাতির মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে।এতে করে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ। সচেতন মহলের দাবী এখনি অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে ব্যবস্থা না নেয়া হলে তারা আগামীতে আরো বেপোয়ারা হয়ে উঠবে।