সোমবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঠাকুরগাঁওয়ে উদ্বোধনের পর থেকেই পরিত্যক্ত গ্রোয়ার্স মার্কেট

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১ ১:৫৯ অপরাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির নির্দিষ্ট কোন পাইকারি বাজার নাই। কৃষি পণ্য সরাসরি বিক্রির লক্ষ্যে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলায় ৬টি গ্রোয়ার্স মার্কেট (কৃষি বাজার) নির্মিত হয়। তবে দীর্ঘ ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই গ্রোয়ার্স মার্কেটগুলিতে কেনাবেচা না হওয়ায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে বেশ কয়েকটি মার্কেট। মার্কেটগুলো অনেকবার চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও চালু করা সম্ভব হয়নি পুরোদমে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ঠাকুগাঁও জেলার ৮০ ভাগ মানুষই সরাসরি কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এ জেলায় সব ফসলই কম-বেশি উৎপাদিত হয়। জেলায় যে পরিমান কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয় কৃষকরা সে পরিমান মূল্য পায় না। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ মার্কেট থেকে এখন পর্যন্ত কোন টাকা পয়সা আয় হয়নি। অথচ প্রত্যেকটি দোকান ঘর দখল করে আছেন অসাধু মহল। এতেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন খোজ খবর রাখেনি। তাদের যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। এ অবস্থায় সরকার অনেক রাজস্ব হারাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মার্জেটিং অফিসার রতন কুমার রায় জানান, ২০০৭ সালে এনসিডিপির আওতায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলায় ৬টি গ্রোয়ার্স মার্কেট (কৃষি বাজার) নির্মান করে জেলা মাকেটিং অধিদপ্তর। এর মধ্যে ছোট খোচাবাড়ী, লোহাগাড়া, মাদারগঞ্জ, কাতিহার, কালমেঘ, যাদুরানী হাটের মার্কেট। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে বাজারগুলো অযতœ আর অবহেলায় পরে থাকছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সদর উপজেলার মাদারগঞ্জের মার্কেট। এ মার্কেট থেকে কোন আয় হয়নি। অন্যদিকে পীরগঞ্জ উপজেলার লোহাগাড়া মার্কেট থেকে আয় হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৮০ টাকা, রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহার হাটে আয় হয়েছে ৫০ হাজার ৭৮৫ টাকা, হরিপুর উপজেলার যাদুরানী বাজার থেকে আয় হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৭ টাকা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ মার্কেট থেকে আয় হয়েছে ১৩ হাজার ৩৩০ টাকা।
মাদারগঞ্জ কৃষি বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রায় সবকয়েকটি দোকান দখল অবস্থায় রয়েছে। এতে মুদি দোকান ও বসত বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। দোকনগুলো দখল করে রয়েছেন তোফাজ্জল দোকান মালিক সফুরা বেগম, রুবেল (ভাঙ্গারী) দোকান, শামিম (কাঁচামাল), জহির (টেইলার্স), আফজাল (ভাঙ্গারী), মকলেসুর মেম্বার (গদিঘর), জলিল (কাঁচামাল ও ফল), বাঠু (ধান চাল) ব্যবসা, সেলিম (ভাঙ্গারী), প্রশিন্ধর (খর ব্যবসায়ি), আশরাফুল (গরু ও মুরগীর মাংস), হারুন (ঔষুধ) এর দোকান দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসলেও কোন ভাড়া প্রদান করেন না।
সদর উপজেলার খোাচাবাড়ি এলাকার কৃষক মোমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, কার্তিক চন্দ্র রায়সহ অনেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, এখানকার গ্রোয়ার্স মার্কেটটি (কৃষি বাজার) বর্তমানে ধংসের পথে। উদ্বোধনের পর থেকে এই অবস্থাতেই পড়ে আছে। সরকরের পক্ষ থেকেও চালুর কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তবে এই সুযোগে গ্রোয়াস মার্কেটের আশে পাশে অনেক মার্কেট দিব্বি চালু হয়ে চলছে।
একই এলাকার কৃষক মনোয়ার হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মার্কেটগুলি সংরক্ষন এবং চালুর উদ্যোগ নেয়া হলে বাজার বসিয়ে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবে।
নারগুনের বোচাপুকুরের ভোক্তা আবু সায়েদসহ কয়েজন জানান, বাজারে যে সকল কাচাঁ বাজার আমরা ক্রয় করছি সেগুলো পাইকারদের কাছ থেকে। তা অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যা কিনা কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করলে ক্রয়মূল্য অনেক কম হতো।
ঠাকুরগাঁওবাসীর দাবি প্রয়োজনীয় সংখ্যক গুদাম, হিমাগার তৈরি করে ধান-চাল, গম-ভুট্টা, শস্যাদিসহ তরিতরকারি, ফলফলাদি এবং শাকসবজি ওই মার্কেটগুলি চালূর মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হোক। তাহলে সাধারণ ভোক্তা কম ক্রয়মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছে ক্রয় করতে পারবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যা”েছন -এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল

হরিপুরে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে ৬ লক্ষাধিক আবেদন

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে ৬ লক্ষাধিক আবেদন

বীরগঞ্জে গীতা স্কুল উদ্বোধন ও গীতা প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে

পীরগঞ্জে মোবারক আলী চক্ষু হাসপাতালের ৩য় তলা ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

রানীশংকৈলে ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আটোয়ারীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

বীরগঞ্জে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

পঞ্চগড়ে ৫ দিনের বিজ্ঞ পাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্ত

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে খানসামায় বিএনপির লিফলেট বিতরণ