শুক্রবার , ১৩ নভেম্বর ২০২০ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিলারদের সিন্ডিকেটে ১১শ’ টাকার সার এখন ১৪শ’ ! কৃষি বিভাগের তদারকি’র অভাব..

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
নভেম্বর ১৩, ২০২০ ৩:০২ অপরাহ্ণ

আনোয়ার হোসেন আকাশ রাণীশংকৈল থেকে… ঠাকুরগাঁও জেলায় বর্তমানে ১১০০ টাকার রাসায়নিক সার বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায়। সার নিয়ে ডিলাররা নানা রকম কারসাজি চালালেও কৃষি বিভাগের কোনো তদারকি নেই। এদিকে রসিদের মাধ্যমে সার বিক্রির নিয়ম থাকলেও নিয়ম মানছেন না ডিলাররা।

বাংলাদেশের উত্তরের সবজির জন্য বিখ্যাত জেলা হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁও। এখান থেকে বিভিন্ন জেলাসহ বিদেশেও সবজি রপ্তানি করা হয়। সবজি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সারই এখানে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
কৃষকদের সেবায় প্রতিটি ইউনিয়নে দু-তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা থাকলেও অদৃশ্য কারণে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টিএসপি সার। ডিলারদের কাছে সরকারি দরে সার কিনতে গেলে বলা হয় টিএসপি সার নেই। আর বেশি দাম দিলে সার মেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

ঠাকুরগাঁও জেলায় সরকারি মূল্য ডিলার পর্যায়ে ৫০ কেজির এক বস্তা ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) (সাদা-কালো) ১০০০ আর চাষি পর্যায়ে ১১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কালো টিএসপি ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা, সাদা টিএসপি ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা, ডিএপি সার ডিলার পর্যায়ে ৭০০ আর চাষি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকা। নাইট্রোজেন জাতীয় সার (ইউরিয়া) ডিলার পর্যায়ে ৭০০ আর চাষি পর্যায়ে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ডিলার পর্যায়ে মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) ৬৫০ আর চাষি পর্যায়ে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিএডিসির একাধিক ডিলার বলেন,
বিএডিসির সাধারণ ডিলাররা প্রতি মাসে নন-ইউরিয়া সারের বরাদ্দ পান এক থেকে দেড় টন আর বাফারসহ বিএডিসির ডিলাররা মাসে বরাদ্দ পান ৬০-৭০ টন। তাই সারের বাজার তাদের হাতে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ও ঠাকুরগাঁও সদরে বাফার ও বিএডিসির ডিলার কবীর এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রফিকুল ইসলামের কাছে সার কিনতে গেলে তিনি প্রথমে টিএসপি সারের মূল্য চান ১৪০০ টাকা। টাকার রসিদ চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন।

খুচরা সার বিক্রেতা জুয়েল রানা বলেন, ডিলারদের কাছে ১৪০০ টাকায় কিনে বাইরে ১০-২০ টাকা লাভ করে বিক্রি করছি।

ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার হরিহরপুর এলাকার চাষি বেলাল হোসেন বলেন, এখনই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেশি দিয়ে সারের বস্তা কিনতে হচ্ছে। মৌসুম শুরু হলে কী হবে বলতে পারছি না।

ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল গনি বলেন, সার নিয়ে কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে তদারকি নেই। ডিলাররা নিজেদের সুবিধার্থে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।

বিএডিসি ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক সরকার বলেন, সার ডিলারদের কোনো সিন্ডিকেট নেই, তবে সমিতি আছে। নিয়ম অনুযায়ী ডিলাররা সার উত্তোলন করে সরকারি দরে বিক্রি করছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, কেউ বেশি দামে সার বিক্রি করলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে পঞ্চগড়ে শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা

দিল্লির তালেবান সংকট, আফগানিস্তানে পট পরিবর্তনে বড় ক্ষতির সামনে ভারত?

দিনাজপুরে শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমসের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

বোদায় জাতীয় যুব দিবস উদযাপন

ঠাকুরগাঁওয়ে দলিত আদিবাসীদের অনূকুলে সংবাদ প্রকশের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

হরিপুরে মটরসাইকেল চোরকে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত‍্যা

চিরিরবন্দরে চলন্ত ট্রেন থেকে মাথা বের করে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রের

​আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে আরব বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া

হরিপুরে পাগলের কুড়ালের কোপে ধান ব‍্যবসায়ীর মৃত্যু

শিক্ষায় সফলতা অনেকটাই অভিভাবকদের উপর নির্ভর করে —- রাণীশংকৈলের ইউএনও