রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে শারদীয় দুর্গোৎসবের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিমা তৈরিসহ রংতুলির আঁচড় শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে অঙ্গসজ্জার কাজ। সোমবার ভোর থেকে ষষ্ঠী প‚জার মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপ‚জা শুরু হবে। এবার রাণীশংকৈলে ৫৪টি মÐপে দুর্গোৎসব পালিত হবে।
পঞ্জিকানুযায়ী আগামী ১১অক্টোবর শুভ শারদীয় দ‚র্গোৎসব মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ১৫ই অক্টোবর মহাদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দ‚র্গৎসবের ইতি ঘটবে এবং দুর্গাতিনাশিনী দেবী দ‚র্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্ণ শিখরে কৈলাসে স্বামী গৃহে ফিরে যাবেন। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের শ্রদ্ধা ও আনন্দমাখা অশ্রুজল। রেখে যাবেন আগামী বছরের ফিরে আসার অঙ্গীকার। রাতদিন রং তুলির কাজ ও প্রতিমার অন্যান্য কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। ইতিমধ্যে উপজেলার সনাতন ধর্মলম্বীদের সর্বত্রই শুরু হয়েছে দুর্গাৎসবের ঘনঘটা। দেবী দ‚র্গাকে স্বাগত জানাতে মন্ডবগুলোতে চলছে সাজসাজ রব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) সামিয়েল মার্ডি জানান, প্রত্যেক প‚জা উদ্যাপন কমিটিকে সরকারিভাবে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প‚জা উদযাপন কমিটির সভাপতি ছবিকান্ত দেব বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার থাবায় গত বছর কঠোর বিধি নিষেধ মেনে শুধু প‚জা অর্চনা করা হয়েছে। এবারেও কেন্দ্রের দেয়া বিধি নিষেধ মেনে মন্ডবগুলোতে প‚জা অর্চনা করা হবে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আগামী শুক্রবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএস জাহিদ ইকবাল বলেন, ইতিমধ্যে প‚জা উৎসব সফল করার লক্ষ্যে সব প‚জা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে নিয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। মÐপগুলোর নিরাপত্তায় প‚জা উদ্যাপন কমিটি স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছে। সেগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় আনসার সদস্য থাকছেন। এ ছাড়া দুই ইউনিয়ন নিয়ে পুলিশ সদস্যদের একটি করে টহল টিম কাজ করবে।