আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার বড়বাড়ি লিচুবাগানে সাদ কান্ধলবী পন্থিদের আয়োজনে ২ দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার(২৯ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পরে মুফতি আজিম উদ্দিনের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। আর জুম্মার নামাজে দেখা যায় মুসুল্লির ঢল।
জেলা ইজতেমার জন্য বড়বাড়ি লিচুবাগানে নির্মাণ করা হয়েছে প্যান্ডেল, অজুখানা, বাথরুম সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু। বুধবার বিকাল থেকেই জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন।
ইজতেমা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাথিরা পর্যায়ক্রমে ইজতেমা মাঠের কাজ সম্পন্ন করেছেন। ইজতেমা মাঠে বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠে সার্বক্ষণিক একটি মেডিক্যাল টিম দায়িত্ব পালন করবেন।
জামাতের মুসল্লি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বাদ ফজর থেকে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তবলীগ জামাতের প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন। ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে ১০ সদস্যের একটি মুসল্লি দল এতে যোগ দিয়েছেন। আগত মুসল্লিরা তাবলীগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শুনছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহাবুব আলম জানান, ইজতেমায় আশা মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়ে সবসময় সজাগ রয়েছে প্রশাসন। সাদা পোশাকধারীসহ সব পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। মেডিক্যাল টিম রাখা হয়েছে। সেই সাথে ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে বিশ্ব ইজতেমায় ক্রমাগত মুসল্লি বাড়তে থাকায় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। এ জন্য ২০১৬ বিশ্ব ইজতেমা থেকেই দুই ধাপে ৩২ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা (যে সব জেলার মুসল্লিরা গত বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেননি ) নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত ইজতেমায় অংশ নেবেন। সে অনুযায়ী ২০১৭ সালে ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রথম ইজতেমা শুরু হয়েছে।
তবে পরবর্তীকে তাবলীগ জামাতের সাদ পন্থি ও জুবায়ের পন্থিদের মাঝে বিবাদ ও বিভক্তির কারনে ২০১৯ সালে ২০ আগস্টে রাণীশংকৈল শিবদিঘী মোড়ে মাওলানা সা’দ কান্ধলবী পন্থীরা জেলা ইজতেমার আয়োজন করে। যদিও সেই আয়োজন ঠেকাতে মাওলানা জুবায়ের পন্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগের সাথী ও সর্বস্তরের তাওহীদির ব্যানারে মানব বন্ধন করে।