মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহানে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম
পরিচালনা করেছে প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শালবাহান রোড মাঝিপাড়ায় মডেল
থানার পুলিশের সহযোগিতায় এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সোহাগ চন্দ্র সাহা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান
ডাবলু, আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মু্িক্তযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল ও মডেল থানার ওসি
আবু ছায়েম মিয়াসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
উচ্ছেদ অভিযানে শালবাহান ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ও নবনির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের দখলে থাকা সাড়ে ৪শতক জমিসহ ২৪ শতক খাস জমি
উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে একটি ক্লাব ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
প্রশাসন জানায়, শালবাহান ইউনিয়নের স্থানীয় ওই ব্যক্তি দলীয় পরিচয় খাটিয়ে মাঝিপাড়া
এলাকায় কবরস্থান, খাস জমি দখল ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে বাগান, বাংলো,
গোলঘর, দোকান, ক্লাবসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেন। ওই স্থানে বিভিন্ন ধরণের
অপকর্ম চালানোর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তৎপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ৩ অক্টোবর উচ্ছেদ
অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে
ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে উচ্ছেদকৃত জায়গায়টি দলীয় কার্যালয়ের ব্যানারে
পুনরায় দখল করেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা
হয়।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা ও শালবাহান ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম
জানান, ২০১৪ সালে আমি একজনের কাছ থেকে স্ট্যাস্পে ডিড করে পজিশন ক্রয় করে। এরপর
এই জমিতে আওয়ামী যুবলীগের অফিস করে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। এখানে আরও
২০-২৫ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। সেগুলো উদ্ধার না করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে
এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এর আগেও একই ষড়যন্ত্র
করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যার কারণে
আমি প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছি। সপ্তাহ খানেক আগে আমার এখান থেকে
সাতটি নৌকা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ওই ব্যক্তির দখলে থাকা জায়গাটি
মাঝিপাড়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। ইতিপূর্বেও জমিটি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান
পরিচালনা করা হয়েছিল। এই খতিয়ানের ৭২ দাগে উদ্ধারকৃত সম্পত্তি প্রায় ২০ লক্ষাধিক
টাকা মূল্যমানের ০.৭২ একর জমি রয়েছে। যা সরকারি জায়গায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়িত আশ্রয়ণ-২
প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের বসতঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা
টাস্কফোর্স কমিটিতে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ কারণেই উচ্ছেদ অভিযান
চালিয়ে জায়গাটি দখলে নেয়া।