রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল নেকমরদ মহাসড়কের পার্শ্বে পৌর এলাকায় গত ৫ফেব্রুয়ারী শনিবার রাতে ওসি তদন্তের বাসার নিচতলায় সার্কেল অফিসের সংলগ্ন ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শিবদীঘি মেসার্স সুমাইয়া ট্রের্ডাস প্রোপাইটার ওসমান গণি কিটনাশক, সার,বীজ,পেট্রল,ডিজেল ও ফ্রেক্সিলোড দোকান করত। রাতে তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন কম্পানির কিটনাশক ,বীজ,ক্যাশ এ থাকা টাকা, দুটি গ্যাস সিলিন্ডার ,গ্যাস চুলা, মোবাইল রিচার্জ কার্ড ও অন্যান্য জ্বালানী উপাদান সহ প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়। প্রাথমিক ভাবে ওসি তদন্ত আঃ লতিফ সেখ ঘটনা তদন্ত করেন। পরবর্তীতে রাণীশংকৈল থানার একগুচ্ছ পুলিশ টিম ঘটনা তদন্ত করে সুমাইয়া ট্রেডার্সের মালিক ওসমান গণির নিকট চুরি হওয়া মালামালের তালিকা চেয়ে থানায় জমা দিতে বলেন।
এদিকে সার্কেল অফিস সংলগ্ন ও খোদ ওসি’র বাসার নিচতলায় চুরির ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের। এরকম একটি প্রশাসনিক কর্মকর্তার বাসভবনে চুরি হলে আর এ রহস্য উদঘাটন না হলে সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা কে দেবে।
উল্লেখ্য, এউপজেলায় মোটর সাইকেল ও গরুর মালিকদের সমঝোতা করে চলতে হচ্ছে। প্রশাসন কোন উপকারে আসছেনা তাদের। চুরির ঘটনা জিডিও নিচ্ছেনা থানা পুলিশ। লেহেম্বা গ্রামে ১১জানুয়ারী রঞ্জনের ১টি ষাড় গরু সন্ধায় চুরি হয়। অনন্তপুর গ্রামের সাদেক আলীর ২টি গাভী সম্প্রতি চুরি হয়। গরুর কোন খোঁজ না পাওয়ায় চোরের সাথে ৭ হাজার টাকা সমঝোতা করে ভান্ডারা গ্রাম থেকে গাভী ২টি উদ্ধার করে গরুর মালিক। ১১ জানুয়ারী কাতিহার ধর্মসভা থেকে ভাংবাড়ী গ্রামের অলিন চন্দ্রের ১টি ডিসকভার ৮জানুয়ারী বলিদ্বারা বাজার থেকে আব্বাস আলী’র পুত্র সলেমান আলী ১টি হোন্ডা, প্রভাষক মনিরউজ্জামান মনির ডিসকভার ১৩৫সিসি নেকমরদ এলাকা থেকে চুরি হয়, তা আবার চোরের সাথে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফেরৎত পায়। এভাবে এ উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক মোটর সাইকেল চোরের সাথে সমঝোতা করে ফেরৎ পেয়েছে মোটর সাইকেল মালিকরা। ১৩ জানুয়ারী দিনে দুপুরে মীরডাঙ্গী এলাকার শিরিনের বাড়িতে চুরি হয়। গত ফেব্রæয়ারী আমজুয়ান চৌরাস্তায় সারের দোকানে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়।
ধর্মগড়,বাংলাগড়,কাতিহার, নেকমরদ,বলিদ্বারা এলাকায় ৫টি মোটর সাইকেল ও ২টি বাইসাইকেল চুরি হয়েছে। ২টি গরু ১টি মোটরসাইকেল সমঝোতার মাধ্যমে উদ্ধার হলেও বাকি গুলো উদ্ধারের সমঝোতার চেষ্ঠা চলছে।
এব্যপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, ওসি’র বাসার নিচতলায় চুরির বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে আমার অফিসার গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেছে।