তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাঠ জুড়ে দুলছে গমের সবুজ গাছ। বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের। চলতি রবি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ গম চাষ হচ্ছে। আবাদে খরচ কম থাকায় এ অঞ্চলে গম চাষে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
গম চাষে কমেছে বোরো ধান ও মরিচের আবাদ। চাষীরা বলছেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বোরো আবাদে খরচ বেশি হওয়ার কারণে এবার গম চাষেই মনোযোগ দিয়েছেন তারা। গম চাষে খরচ কম, বেশি লাভ। তাই বোরো ধানের জমিতে অধিকাংশ কৃষক এবার বোরো বাদ দিয়ে গমের আবাদে ঝুঁকেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ মৌসুমে ৩ হাজার ৩শ ১০ হেক্টর গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০২১-২২ মৌসুমে একই নির্ধারণ করলেও তা বেড়ে ৬ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে কৃষকরা এবার গম চাষ করছেন। বারি ২৮, ৩০, ৩২ ও ৩৩ জাতের গম জমিতে আবাদ হচ্ছে।
শালবাহান ও তিরনই হাট এলাকার কয়েকজন চাষী জানান, বোরো ধানের মতো গম আবাদে সেচের খরচ কম। তেমন বেশি সেচ লাগে না। অন্যান্য খরচও কম। তাই গমে এবার বেশি লাভের আশা করছেন তারা। বিশেষ করে এ উপজেলার মাটিতে পানির ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় বোরো আবাদে বেশি পরিমাণে সেচ দিয়ে পানি দিতে হয়। তাই খরচও বেড়ে যায়। সাদেক ও তবিবর রহমান জানান, এ বছর ডিজেলসহ অন্যান্য দাম বেড়ে যাবার কারণে বোরো আবাদ না করে গম চাষ করেছি। আশা করছি গমের ন্যায্য মূল্য পেলে এবার লাভ হবো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ মৌসুমে গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেশি দেখতে পারছি। গতবারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন হারে কৃষকরা এবার গম আবাদ করছেন। সরকারিভাবে কৃষকদের উন্নয়নে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রতিজনকে ২০ কেজি গমবীজ এবং এর সঙ্গে কৃষি উপকরণ হিসেবে সার ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি করে দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।