বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ বসন্তের আগমনে বীরগঞ্জ উপজেলার প্রকৃতি সেজেছে রঙিন সাজে। গাছে গাছে রঙিন ফুল। সবকিছুর মধ্যেও প্রকৃতিকে অন্য রকমভাবে সাজিয়েছে শিমুল ফুল। প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেয় শাহ আব্দুল করিমের সেই গানের লাইনটি ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে.. সই গো, বসন্ত বাতাসে” ।দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১০নং মোহনপুর ইউনিয়নে লাটেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তার দুই পাশ দিয়ে অসংখ্য শিমুল গাছ। তবে শহর অঞ্চলে শিমুল গাছের সংখ্যা কমে গেলেও গ্রামঞ্চলে শিমুল গাছগুলো এখন সেজেছে বাহারি রঙের ফুলে। লাটেরহাট গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলী বলেন, প্রতিবছর এই সময় লাটেরহাটের রোড়ের দুই পাশে শিমুল ফুল ফোটে। বর্তমানে রাস্তা প্রসস্ত করার কারণে শিমুল গাছগুলো কাটা হচ্ছে। অনেকে আবার ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশে বসন্ত আসে প্রকৃতিকে রঙিন করতে। আর শিমুল ফুল ছাড়া বসন্ত যেন একেবারেই বেমানান। বসন্ত নিয়ে যতো কাব্য রচিত হয়েছে তার অধিকাংশতেই শিমুল ফুলের কথা ওঠে এসেছে।মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক কালিপদ রায় বলেন, শিমুল ফুল না ফুটলে যেন বসন্ত আসে না। বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিবেশের সঙ্গে সংস্কৃতি চর্চার একটি যোগ সূত্র রয়েছে। ঠিক সেভাবে বসন্ত এলেই চলে আসে শিমুল ফুল। নিজপাড়া ইউনিয়ন ছাড়াও অন্য ইউয়িনগুলোতেও গাছে গাছে এখন শিমুল ফুল। আমাদের ঋতু বৈচিত্রের এসব অনুসঙ্গকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্বও আমাদের।