মঙ্গলবার , ১ মার্চ ২০২২ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা ঠাকুরগাঁওয়ে আনন্দ উল্লাস

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মার্চ ১, ২০২২ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ‘২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ঐ এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেটি করা হবে। এ লক্ষ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এখন খবর শোনার পর ঠাকুরগাঁও জেলার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানি স্ট্যাটাস দিতে লক্ষ্য করা গেছে। সাধারন মানুষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন দ্রুত বাস্তবায়নেরর দাবিও জানিয়েছেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য আইনের মতো এখানে ৫৬টি ধারা হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রপতি আচার্য হবেন। তিনি স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দুই জন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন থাকবেন ট্রেজারার।’ এখানে একটি তহবিল থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি আরও বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়েও রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য বিধি-প্রবিধি করে নিতে পারবেন। বিধি ও প্রবিধিতে সবকিছু ডিফাইন করা হবে।’ শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে বলেন, উত্তরাঞ্চলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা খুবই কম৷ আমাদের জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সচেতন হবে। পাশাপাশি যে এলাকাজুড়ে প্রতিষ্ঠানটি হবে সে এলাকার মানুষগুলোর জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হবে।বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে যাতায়াত ব্যবস্থা বাড়বে পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে এ জেলা সমৃদ্ধ হবে৷ যত দ্রুত সম্ভব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির কাজ শুরু হওয়া দরকার।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ খুব জরুরি। আজকে অনুমোদন হয়েছে দেখলাম৷ তবে বিস্তারিত এ বিষয়ে পরে বলতে পারব। আশা করছি জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে বিভিন্ন পাশ দিয়ে জেলার জীবনযাত্রার মান বাড়বে।
ঠাকুরগাঁও–১ আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী। তিনি জনগনের জন্য কাজ করে থাকেন ৷ সেই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৯ শে মার্চ জননেত্রী শেখা হাসিনা ঠাকুরগাঁও জেলায় এসে অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দেন। তার মধ্যে তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দেন। আজকে তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। আমরা ঠাকুরগাঁও জেলা বাসী অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করছি আমাদের জেলার ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন হবে৷ পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের কোথায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বিমানবন্দর এলাকার উত্তরে মুক্তা মেলার পাশে স্থাপন করা হবে৷

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

খানসামায় পাইকারীতে শসার কেজি ১ টাকা, চাষিদের মাথায় হাত

ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ থানায় নতুন ওসি

ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ থানায় নতুন ওসি

কৃষক সমিতির জেলা সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাজার বিপনন ব্যবস্থা যদি কৃষকবান্ধব না হয় তাহলে এই অবস্থা আরও ভয়াবহ চেহারা ধারণ করবে

হাবিপ্রবিতে সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কাহারোলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন এর মৃত্যুতে মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি’র শোক

ফেসবুকে মরহুম (এমপি) বাবার উদ্দেশ্যে লেখা সাবেক এমপি কন্যার হৃদয় বিদারক স্টেটাস!

ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরে বজ্রপাতে চার শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু

কাহারােলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উদ্বোধনী মেলা

রাণীশংকৈলে একশ’টি হুইলচেয়ার প্রদান