বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনভর ভ্যাপসা গরমে মানুষ যখন ক্লান্ত। আর ক্লান্তি থেকে একটু নিশতার পেতে আগাম জাতের তরমুজ কিনছেন ভোক্তারা। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দেখা মিলছে আগাম জাতের তরমুজের। কিন্তু এখনো গরমকালের তরমুজ বাজারে আসেনি। পৌরসভার বিভিন্ন ফল ব্যবসায়ীরা নাটোর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরমুজ চাষিদের কাছ থেকে কিনে এনে বিক্রি করছে। নতুন তরমুজে ক্রেতাদের নজর কারতে তাদের দোকানে সামনে তরমুজগুলো সাজিয়ে রাখছেন তারা। তবে আগাম জাতের তরমুজ নিয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বীরগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলায় কম পরিমাণে তরমুজ চাষ হয়ে থাকে। তাই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলা -উপজেলা থেকে পাইকারীতে তরমুজ কিনে থাকেন। গরমকালের তরমুজ এখনো বাজারে আসেনি। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে,সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ। বীরগঞ্জ পৌরশহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশ্ববর্তী স্থানে বিভিন্ন ফলের দোকানগুলোতে প্রায় এক মাস ধরে এইসব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। বসন্তকাল হলেও ভোররাতে এখনো হালকা শীত পড়ছে। আর বেলা উঠার সাথে সাথে প্রচন্ড রোদ এবং ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। এজন্য তরমুজের চাহিদা বাড়ছে। বিক্রেতা শহিদুল বলেন,অন্য বছরের তুলনায় এবছর আগেই বাজারে এসেছে তরমুজ। আগাম জাতের তরমুজ কিনে লাভের আশায় পাইকারি কিনে খুচরা বিক্রি করছি। তবে কম পরিমাণে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন পর পবিত্র মাহে রমজান মাস তরমুজ বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরও জানান, আগাম জাতের কালা, বাংলালিংক, অলক্লিন, চায়না -২ সহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এ বছর গরম বেশি তাই তরমুজের চাহিদা হবে বেশি।