রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি ঃ ইউএনও পরিচয়ে মিষ্টির দোকানের পর এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী মিরডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তারী জানান,৩০মার্চ আমাকে ও টেকিয়া মহেষপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষককের মোবাইলে অজ্ঞাত মোবাইল থেকে ইউএনও পরিচয়ে বলেন আমি ইউএনও বলছি আগামিকাল আপনারা একটি করে ল্যাবটপ পাবেন সেটি বাসায় ও স্কুলে ব্যবহার করতে পারবেন। আমার ব্যাক্তিগত এই নাম্বারে ৫হাজার টাকা করে বিকাশ দেন। এমনি ভাবে সহদোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফোন দেয় তারা। কিন্তু চতুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেউ টাকা দেয়নি।
অপরদিকে নেকমরদ ইউনিয়নে গত ২৬ মার্চ দুপুরে ইউএনও পরিচয়ে বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ৩০/৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে-আর না দিলে প্রতি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হবে। এ নিয়ে শনিবার রাতে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অপরিচিত মোবাইল নং উল্লেখ্য করে একটি অভিযোগ দাখিল করে।
এ প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, মোবাইল ট্রেকিং এর কাজ চলছে সিডিআর হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, মিষ্ঠির দোকানের বিষয়টি এবং শিক্ষকদের বিষয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। ভুয়া ইউএনও সেজে যে চাঁদা দাবি করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য থানা পুলিশ কে আমি নিদের্শ দিয়েছি। তবে দূস্কৃতিকারিরা সবাই বরিশাল ও নেত্রকনা দক্ষিণ বঙ্গের লোক। ছেলের নামে সিম তোলা ইমুতে মহিলার ছবি এসব উদ্ধারের চেষ্ঠা চলছে।