দিনাজপুরে আলুর ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। হিমাগারে আলু সংরক্ষণও শুরু হয়ে গেছে। জেলার হিমাগারগুলোর সামনে আলু নিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষ করতে দেখা গেছে যানবাহনচালক ও ব্যবসায়ীদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলায় এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪৫ হাজার ৮২৮ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আর দিনাজপুরে ১৩ হিমাগারে আলু সংরক্ষণ ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৪২০ টন। প্রায় ৯ লাখ টন আলু থেকে যায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে।
কাহারোল উপজেলার কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, এবার ক্ষেতে কাটিনাল ও স্টারিজ আলু বিক্রি হচ্ছে ২৩ থেকে ২৪ টাকা। আর দেশি জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা।
কোল্ড স্টোরেজের সামনে আলুবোঝাই শত শত যানবাহন মহাসড়কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
আবুজার নামে এক চালক জানান, ট্রলিতে করে ভোরবেলা তিনি এসেছেন। কিন্তু কখন সিরিয়াল পাবেন জানেন না। তবে এ চিত্র প্রতি বছরের।
দিনাজপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (শস্য) মো. আনিছুজ্জামান জানান, জেলায় আলু উত্তোলনের ভরা মৌসুম চলছে। তাই ঠিক কী পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে তা এখনো নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। জেলায় ১৩ হিমাগারে আলু সংরক্ষণ ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৪২০ টন।