বোচাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী বাড়েয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিনব এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সূত্রপাত, উক্ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য গঠন নিয়ে।
বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে দেয়া এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত এক অভিযোগে বলা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক কনক লতা উনার পছন্দের এক ব্যক্তিকে অভিভাবক সদস্য বানানোর জন্য উক্ত ব্যক্তির সন্তান( ছাত্রী) কে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলে ভূয়া ভর্তি দেখান। অথচ সেই ছাত্রী পড়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে – সেই ছাত্রীর নিয়মিত ক্লাশ করে প্রতিদিনের হাজিরা খাতায় তা স্পষ্ট। পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেই ছাত্রী যে নিয়মিত স্টুডেন্ট তার স্কুলের সেই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন এবং তিনি যে কোন টিসি দেন নাই সেটাও নিশ্চিত করেন।
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উক্ত ব্যক্তিকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করান। এমনো অভিযোগ পাওয়া যায় অনেক টাকা পয়সা খরচ করে ঔ ব্যক্তিকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন এমনকি সভাপতি ও নির্বাচিত করেন!!!
এই অনিয়মের ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর কিছু পদে নিয়োগ আছে তাই প্রধান শিক্ষক এবং উনার স্বামী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্খক উভয়ে মিলে তাদের পছন্দের কমিটি ও সভাপতি নির্বাচিত করতে পারেন এজন্য অভিনব প্রতারনার অাশ্রয় নিয়েছেন- ইতিপূর্বে স্কুলে ৪র্থ শ্রেণির কয়েকটি পদে লোক নিয়োগ করা হবে এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে- মনমত সভাপতি থাকলে নিয়োগ বানিজ্যে ভাল হবে এই অাশায় পছন্দের সভাপতি ভুপতি ভুষন চন্দ্র সরকারকে সভাপতি করা হয়েছে- কিন্তু অভিভাবক ও এলাকাবাসী বলছেন, ভুপতি ভুষন চন্দ্র সরকার কিভাবে অাদর্শ স্কুলের সভাপতি হলেন, তার মেয়ে রীমা মুনি রায় তো এই স্কুলের ছাত্রী না- সে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী তার রোল নং- ১১, শাখা- ক!
এলাকাবাসী এই অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে দিয়েছেন এবং আদালতের একটি লিখিত অভিযোগ ও দিয়েছেন। কিন্তু এলাকাবাসী কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান।
একজন শিক্ষক প্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা যায় এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর প্রধান শিক্ষক এবং তার স্বামী বিভিন্ন ভাবে স্কুলের অন্য শিক্ষকদের হুমকি দিচ্ছনে। কেউ তাদের কিছুই করতে পারবে না উপরের সব ঠিক করা আছে বল প্রধান শিক্ষকের স্বামী প্রচার করে বেরাচ্ছেন। এখানে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় প্রধান শিক্ষকের স্বামী উক্ত স্কুলে চাকরি করেন না কিন্তু উনি স্কুলের অফিসিয়াল কাগজপত্র অফিসের চাবি সব উনার কাছে রাখেন, উনি নিজেকে বলেন, আমার স্ত্রী প্রধানশিক্ষক আমিই সব এই স্কুলের! এই এক আজব কারবার!!! আদর্শ স্কুলে অনাদর্শের খেলা শুধুই হয় না বুক উচিয়ে অন্যায় করাই যেন এখানে নিয়ম!
এব্যাপারে অাদর্শ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রিমা মুনি অামার স্কুলের ৭ম শ্রনীর ছাত্রী- নিয়ম মেনেই কর্তৃপক্খ সব কিছু করেছে- এখানে কোন অনিয়ম হয়নি-
এলাকাবাসী শংকিত এই অন্যায়ের প্রতিকার হবে কি?