জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে দিনাজপুরের হাটবাজারে তালশাঁসের কদর বেড়েছে। গ্রীষ্মের গরমে তৃষ্ণা মেটাতে সুস্বাদু তালশাঁস খেতে বাজারে ভিড় করছে ক্রেতারা। গত বছরের চেয়ে এবার তালশাঁসের দাম অনেকটা বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম আর খরচ বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে।
দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন মোড় ঘুরে দেখা যায়, নানা ধরনের ফলের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু পুষ্টিসমৃদ্ধ কচি তালের শাঁস। ছোট-বড় প্রকারভেদে প্রতিটি তালের শাঁসের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা।
শহরের আইন কলেজ মোড়, জিলাস্কুল মোড়ে তালশাঁস কিনতে আসা স্কুলশিক্ষক সারোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, ‘প্রচন্ড গরমে তালশাঁস খেতে ভালোই লাগে। তাই প্রতি গ্রীষ্মে বাজারে তালশাঁস উঠলে নিজে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের খাওয়ানোর চেষ্টা করি। কারণ মৌসুমি একেক ফলে একেক ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে।’
শহরের বাসস্ট্যান্ডে তালের শাঁস কিনতে আসা শিক্ষার্থী শফিউল আলম বলেন, ‘তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। প্রচন্ড গরমে তালের শাঁস খেতে ভালোই লাগে।’
শহরের জিলা স্কুলের সামনে তালের শাঁস বিক্রি করছিলেন রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই তালের শাঁসও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। শহরের একটি আড়ত থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০০ তালের শাঁস ১ হাজার ৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া ভ্যানভাড়া দৈনিক ১২০ টাকা।
রফিকুল বলেন, ‘প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি করতে পারি। খরচ বাদ দিয়ে ৭০০-৮০০ টাকার মতো হাতে থাকে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ‘গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। তবে প্রচলিত কৃষিকাজের বাইরে অর্থাৎ ধান-পাট এসব চাষের বাইরে বাড়ির আঙিনায়, পুকুরঘাটে, নদীর ধারে বেশি করে তালগাছ লাগিয়ে কৃষকেরা লাভবান হতে পারেন।’
হাসপাতালের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক জানান, তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে ক্যালসিয়াম, লৌহ, আঁশ ও ক্যালরির উপস্থিতি অনেক বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের উপাদান রয়েছে।