বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি॥- স্বাধীনতার মাসে পাকিস্তানি হাই কমিশনারকে একাত্তরে বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, ৩০ লক্ষ ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্ত, আড়াই লক্ষ মা-বোনের নির্যাতনের আর্তনাদ যাদের ব্যথিত করে না, তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ নাই। তিনি বলেন, আমরা বন্ধু নির্ধারণে ভুল করলে স্বাধীনতার চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্বাধীনতার ইতিহাস যতদিন অম্লান হয়ে থাকবে তদানীন্তন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ভারতের জনগণ প্রতিটি বাঙালির কাছে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে মিত্রবাহিনীর রক্ত এক হয়েছে বলেই আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। একাত্তরের পরাজিত শত্রু রায়ে তাদের ক্ষত ভুলতে না পেরে সমৃদ্ধির পথে অগ্রগামী বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং একাত্তরের চেতনায় আমাদের আগামীর পথচলা নির্ধারণ করতে হবে। ৬ ডিসেম্বর ২০২০ রোববার সকালে বীরগঞ্জ পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কালিপদ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নুর ইসলাম নুর, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. শামীম ফিরোজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল সালাম সরকার প্রমুখ।শুরুতে দিবসটি যথাযথ মর্যদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বীরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন, তাজমহল মোড়ে শহীদ বুধারু স্মৃতিস্তম্ভে ও বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের পাশে শহীদ মহসীন আলী’র কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উলেখ্য, ১৯৭১ইং সালে এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর আক্রমনে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের ভাতগাঁও ব্রীজে বাংকারে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অবস্থান নেয়। যৌথ বাহিনীর টেংক-কামান-মেশিনগান ও বিমান হামলা থেকে নিজেদের বাঁচতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়।