বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বহুতল ভবনে রংয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তপু দেব নাথ (৩০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক প্রায় ১৫ দিন যাবত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়াই করে অবশেষে মৃত্যু বরণ করেছেন। সম্প্রীতি গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তপু দেবনাথ এবং আশিক রায় (২৭) মাটিতে নামে দুই শ্রমিক পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিল। আহত তপু দেব নাথ বীরগঞ্জ পৌরভার ৭নং ওয়ার্ডের সনাতনপাড়ার অতুল দেব নাথের ছেলে এবং আশিক রায় একই এলাকার অতুল রায়ের ছেলে। গত শুক্রবার পৌরহরের ইকুসেন্টার পাড়ার মোঃ মইলুন ইসলামের বাড়ীতে রংয়ের কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রংমিস্ত্রি এবং শ্রমিক নেতা বাবুল দেবনাথ জানান, পৌরশহরের সেন্টার পাড়া মোড়ের বাসিন্দা মোঃ মইলুন ইসলামের মইনুল টাওয়ারের রংয়ের কাজের চুক্তি নেয় রংমিস্ত্রি ঠিকাদার চন্দন দেবনাথ। বৃহস্পতিবার চুক্তি ভিত্তিক সেই কাজে দৈনিক হাজিরা হিসেবে অংশ নেয় তপু দেব নাথ এবং আশিক রায়। কাজ করার একপর্যায়ে বিকেলে বাড়ীর সামনে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনে তপু দেব নাথ স্পৃষ্ট হয়ে এক হাতের পুরো অংশ পুড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় তপু দেব নাথ বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হওয়ার সময় ঝাকুনিতে তার পাশে কর্মরত অপর শ্রমিক আশিক রায় মাটিতে পড়ে যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তখন বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আফরোজ সুলতানা লুনা জানান, আহত দুজনের মধ্যে তপুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। তপুকে প্রথমে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হলে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে গতকাল ৩ জুলাই রাত ২ টার দিকে তপু দেবনাথের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনমালী রায় জানান, আসলেই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি। তপুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসেছে। সংসারের আয় রোজকার অবলম্বন ছিলেন তপু। বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপাকে পড়বে ওই অসহায় হতদরিদ্র পরিবারটি। এব্যাপারে
বীরগঞ্জ ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর আলম বলেন, তপু দেব নাথ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল থেকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে এবং আশিক রায় বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।