মৃদু তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ দিনাজপুরবাসী। গত দু’সপ্তাহ তীব্র গরমে সব বয়সের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত অবস্থা। এ অবস্থায় অনেক বাড়ীতে আবার দেখা দিয়েছে জ্বর-সর্দি। মাঝে মধ্যে আকাশে মেঘের ভেলা দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত কোন বৃষ্টির দেখা পায়নি দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষ।
এ অবস্থা আরও দুদিন চলবে এবং শুক্রবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রযেছে বলে জানান দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।পরে বিকেল ৩টায় তা বেড়ে ৩৫ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩৪ থেকে সাড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা ওটা নামা করেছে।
এদিকে এই গরমে একটু স্বস্তি পেতে ও পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণে ডাবের পানি খেতে ভীড় করছে মানুষ। কাঠফাটা রোদের কারণে দাম বাড়িয়ে প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। তবুও সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলহাট থেকে ডাব কিনতে আসা লিটন জানান, অনেক গরম তাই ডাব কিনতে এসেছি। কিন্তু ডাবের দাম অনেক বেশি। ঈদের আগে যে ডাব ৭০ থেকে ৮০ টাকায় কিনেছি, সেই ডাব এখন প্রতি পিস ১৫০-২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
ঘুঘুডাঙা এলাকার আরমান হোসেন জানান, ১৫দিন ধরে দিনাজপুরে কোনো বৃষ্টি হয়নি। গরম বাড়ছে। বিদ্যুৎ লোডশেডিং। বৃষ্টি না হলে ধান রোপণ করা ব্যয়বহুল।
সুন্দরবন ইউপির দবিরুল ইসলাম বলেন, যে রোদ, মাঠে কাজ করতে গেলে মাথা ঘোরে। বৃষ্টির অভাবে আমনের চারা রোপণ করা যাচ্ছে না। বৃষ্টির আশায় কৃষকরা আকাশের পানে চেয়ে আছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে এই মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকালে ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে উত্তরাঞ্চলে একটি মৃদু তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। দিনাজপুরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কিংবা শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টি শুরু হবে পঞ্চগড় থেকে। ধীরে ধীরে দিনাজপুর জেলার দিকে আসবে। আকাশে মেঘের বলয় দেখা যাচ্ছে।
চলতি মাসের শেষ ১০দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশী রয়েছে এবং তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানান তিনি।