ঠাকুরগাঁও :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে পুরোপুরি বর্ণ চূড়ায় পরিণত হয়েছে তারা । যখন তারা গণতন্ত্রকে ভয়পায়, জনগণের সম্মুখীন হতে পারে না, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পায়, তখন তারা মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। একটা একটা গ্রাম্য মোড়লের মতো। যার কাজই হচ্ছে মামলা দিয়ে সারাক্ষণ জনগণকে অস্থির করে রাখা এবং ক্ষমতায় টিকে থাকা।
এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করা হচ্ছে। এধরণের মিথ্যা মামলা গুলো প্রমাণ করে তারা কিভাবে দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে ও পরিকল্পিতভাবে বিরোধীদলকে পুরোপুরি নিচিহ্ন করার পরিকল্পনা তৈরি করছে।
বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা রাস্তায় কোন প্রোগ্রাম করতে গেলে আমাদের পুলিশ দিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আজকে সুগার মিল বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমীকদলের প্রোগ্রামেও তারা বাধা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে মাদ্রাসার শিক্ষকদের ও তানজিম ফ্যাসনের শ্রমিকরা যে অনশন করছিল সেখানোও তাদের মার-পিট করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকভাবে কোন পরিবেশই নেই রাজনীতি করার। তার পরেও আমরা আন্দোলন, সভা ও মিছিল করেছি। আন্দোলন কিন্তু হঠাৎ করে একদিনেই তৈরী হয়ে যায় না। এভাবেই আন্দোলন তৈরী হয়।
ফখরুল আরো বলেন, আমরা বার বার করে সরকারকে সতর্ক করছি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বকে সতর্ক করছি যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রহীনতা শুধু মাত্রা উগ্রবাদীদের, মৌলবাদদের, যারা জঙ্গীবাদকে প্রচার করতে চায় তারা তাদেরকেই সাহায্যে করবে। গণতন্ত্রকে যখন দাবিয়ে রাখা হয় তখনি উগ্রবাদদের উহুান হয়। আর সেটাই আওয়মীলীগ করছে যেনে শুনে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন,অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ সহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরাসহ অনেকে।