বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিধিনিঃ প্রকাশ থাকে, নির্বাচন কমিশন কতৃক চতুর্থ ধাপের তফশীল অনিযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ইং বীরগঞ্জ উপজেলার মোট ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ, দাখিল,যাচাই- বাছাই,প্রার্থীতা প্রত্যাহার,মার্কা প্রদান শেষে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনী ইউনিয়নগুলোতে ধুমধামে চলছে সকল প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। বীরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউপিতে চলছে আচরণবিধির মহোৎসব। প্রার্থীরা গাছে,বৈদ্যুতিক খুঁটিতে,বসতবাড়ির প্রাচীর ও দেয়াল,স্কুলের ফটক,সড়কের অভ্যর্থনা তোরণ ও যানবাহনে নির্বাচনীয় পোষ্টার সাঁটা হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে উপজলার ২ নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, এই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ও মার্কার প্রার্থী মোঃ মিস্টার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কেউট গাঁও খালপাড়ার মোড়ে আনুমানিক প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যায় করে জনৈক রহমত আলির পুকুর পাড় বাঁধাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্পুর্ন নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কাজটি করা হচ্ছে কেন এবং তফসিল ঘোষণার পর এধরণের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনার বৈধতা আছে কিনা মুঠোফোনে জানতে চাইলে মিষ্টার মেম্বার জানান,তার নিজের ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থ দিয়ে খালপাড়া বাসির দাবির মুখে রাস্তা সংলগ্ন পুকুরের পাড় বাঁধাই কাজটি চালাচ্ছেন এবং এটিকে তার অসামাপ্ত কাজ বলে দাবী করেন তিনি। এব্যপারে পুকুর পাড় বাধাই করা কাজে নিয়োজিত পাওয়া ইমারত মিস্ত্রী একই এলাকার তহির উদ্দিনের ছেলে মোকসেদ আলী জানায়, গত ১০ দিন হতে এই কাজটি চলছে এবং মিস্টার মেম্বার তাকে সল্পরেটের কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী ইট,খোয়া, বালু, রড, পুরাতন পিলার ও টাকা দিয়ে কাজটি করিয়ে নিচ্ছেন তাই কাজের মান খারাপ হচ্ছে বলেও স্বীকার করে। একইসাথে পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন জমির উপর কয়েকদিন যাবৎ মিস্টার মেম্বার চালাচ্ছেন কাঁচামালের আড়ৎতের টিন সেডের বৃহদাকার ঘর নির্মাণের কাজ। অপরদিকে একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও ঘুড়ি মার্কার প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম, তালা মার্কার প্রার্থী বিনোদ চন্দ্র রায় ও মোরগ মার্কার প্রার্থী মোঃ নুর ইসলাম (নেন্দ) পলাশবাড়ী বোর্ড অফিস বাজারে তাঁদের কর্মী সমর্থকদের জন্য নিজনিজ নির্বাচনী ক্যাম্পেইন অফিস উদ্বোধন করে রেখেছেন এবং মোরগ মার্কার প্রার্থী নেন্দ তাঁর নির্বাচনী অফিসে খাঁচায় বন্দি জিন্দা ২ টি মোরগ এনে প্রদর্শনী হিসেবে রেখেছেন। যা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ জসিমউদদীন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর হতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জনপ্রতিনিধি ও মেম্বার পদপ্রার্থীরা এধরণের কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারবেন না এবং ইউপি মেম্বার প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন অফিস নির্মাণ করা সম্পূর্ণভাবে আচরণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনীয় চরম মূহুর্তে আচরণবিধি ভঙ্গকরে অবৈধভাবে মিস্টার মেম্বার কতৃক পুকুর পাড় বাঁধাই কাজসহ উন্নয়নমূলক কাজগুলি আসন্ন ইউপি নির্বাচনের ভোটে যথেষ্ঠপ্রভাব বিস্তার করে অন্যান্য প্রার্থীদের চরম ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে বলে দাবী করেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য প্রার্থীরা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে দাবী করেন পলাশবাড়ী এলাকার সচেতন মহল।